নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: উপরাষ্ট্রপতি পদে আজ শুক্রবার শপথবাক্য পাঠ করলেন নব নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন (Rahul Gandhi)। কিন্তু এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও উপস্থিত হলেন না লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই ঘটনায় স্বভাবতই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন রাহুল। এনডিএ জোট নেতৃত্ব রাহুল গান্ধীর এই আচরণকে অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছেন।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ এই ঘটনাকে নিয়ম লঘ্ন বলে চিহ্নিত করে রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী এবং ইন্ডি জোট বারবার জাতীয় দায়িত্বকে অবহেলা করেছেন। শুধু রাহুল নন কটাক্ষের মুখে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিওকার্জুন খড়গেও।
এই কটাক্ষের জবাবে কংগ্রেস মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক পবন খেরা বলেছেন প্রত্যেক ঘটনায় বিজেপি এবং এনডিএ খড়গে এবং রাহুল গান্ধীকে চতুর্থ ও পঞ্চম সারিতে বসিয়ে অপমান ও উপহাস করছে।
আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে ১৫ তম উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, সাবেক উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ সহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
কিন্তু লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এই অনুপস্থিতি নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক এবং বিজেপি নেতৃত্ত্ব রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন এই অনুস্পস্থিতি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক বিরোধী প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি প্রায় ১৫২ ভোটে রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে পরাজিত হন।
ভোটের ফল দেখে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তবে আজকের এই ঘটনায় বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি নিয়মের মধ্যে পরে এবং সেটাই গণতন্ত্র। কিন্তু বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে জাতীয় মর্যাদা এবং গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করেছেন।
এই বিতর্কের প্রভাব দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে পড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে দুই পক্ষের সমর্থকরা তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতি তার ‘অ-জাতীয়তাবাদী’ মনোভাবের প্রকাশ, যখন কংগ্রেস বলছে এটি এনডিএ-এর প্রতিহিংসার ফল।
আয়কর রিটার্ন রিফান্ড পেতে দেরি হচ্ছে? জেনে নিন কারণ এবং সমাধান
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের বিতর্ক সাংবিধানিক পদের প্রতি সম্মানের প্রশ্ন তুলেছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করছে। উপরাষ্ট্রপতি সি.পি. রাধাকৃষ্ণন, যিনি এনডিএ-এর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সাধারণত শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক এই অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে গেছে। কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও এই ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছেন এবং বলেছেন যে, বিজেপির এই হামলা বিরোধীদের দমনের চেষ্টা।
