“লাদাখে দাঙ্গা লাগিয়েছেন Rahul Gandhi!” বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির

নয়াদিল্লি: বুধবার লাদাখের “দাঙ্গা”র পেছনে রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi) এবং কংগ্রেসের (Congress) হাত রয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করল বিজেপি (BJP)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে বিজেপির আইটি শাখার (BJP IT Cell) প্রধান অমিত মালব্য এক্সে লেখেন, ‘লাদাখে বিজেপি অফিসে ভাঙচুর এবং আন্দোলনকারীদের উস্কানি দিতে দেখা গিয়েছে আপার লেহ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফুন্টসুগ স্টাঞ্জিন সেপাগকে। রাহুল গান্ধী ঠিক এই ধরণের অরাজকতা এবং দাঙ্গাকেই প্রশ্রয় দেন।”

Advertisements

পাশাপাশি, বিজেপি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেসকে দুষেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও। এক্সের পোস্টে তিনিও লেখেন, “রাহুল গান্ধীজী, বিক্ষোভকারীদের নেতা আপনার জেন-জি (GEn-Z) সেনাপ্রধান ফুন্টসুগ স্টাঞ্জিন সেপাগ। আগুন নিয়ে খেলার ফল কিন্তু আপনার এই কাউন্সিলরকে ভোগ করতে হবে! বিজেপি কর্মীদের চ্যালেঞ্জ করা বন্ধ করুন”।

লাদাখের “Gen-Z বিপ্লব”

বুধবার লাদাখের সংঘর্ষ-বিক্ষোভকে জেন-জি বিপ্লবের আখ্যা দিয়েছেন সমাজকর্মী সোনাম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। লেহ-কে রাজ্য ঘোষণা এবং ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নামেন লাদাখের যুবক-যুবতীরা। লেহ এপেক্স বডি (LAB) ও কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (KDA)-এর নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই আন্দোলন মুহূর্তেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।

পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লাদাখের রাজধানী। বিজেপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জ্বালানো হয় দফতরের সামনের একাধিক গাড়িও।

ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ৪ জন

Advertisements

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রক্তক্ষয়ী সংরামে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের রুখতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষোভে একাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তার মধ্যে একটি পুলিশ ভ্যানও রয়েছে বলে খবর।

আন্দোলন নিয়ে কি বলছেন বাস্তবের “র‍্যাঞ্চো”?

প্রথমে আন্দোলনকারীদের শান্তির বার্তা দিয়ে ১৫ দিনের অনশন প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ সোনাম ওয়াংচু বা বাস্তবের “র‍্যাঞ্চো”। তিনি বলেন, “এই বিক্ষোভ সহিংসতার জন্য আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ধ্বংস হচ্ছে”। বেলা গড়াতেই আন্দোলনকে “জেন-জি বিপ্লব” বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

সমাজমাধ্যমে ওয়াংচু বলেন, “লেহ-তে আন্দোলনের জেরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আমি দুঃখিত। বহু কার্যালয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এটাই নতুন প্রজন্মের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ! এটাই জেন-জি বিপ্লব”।