নির্বাচন ভুলে দীপাবলিতে নতুন পেশায় রাহুল

rahul-gandhi-diwali-celebration-delhi-sweet-shop

নয়াদিল্লি: দীপাবলির আলোর উৎসব এসে গেছে। আর এই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছেন কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার, তিনি পুরানো দিল্লির ঐতিহাসিক ঘণ্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানে গিয়ে ইমারতি ও বেসন লাড্ডু তৈরির হাতেকলমে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।

Advertisements

এই বিশেষ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করে রাহুল গান্ধী দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সবাইকে তাদের উৎসব উদযাপনের গল্প শেয়ার করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, দীপাবলির প্রকৃত মাধুর্য শুধু মিষ্টি বা উৎসবে নয়, বরং সম্পর্ক ও সম্প্রদায়ের বন্ধনে নিহিত।এক্স-এ তাঁর পোস্টে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “পুরানো দিল্লির বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক ঘণ্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানে ইমারতি ও বেসন লাড্ডু তৈরির চেষ্টা করলাম। এই শতাব্দী প্রাচীন দোকানের মাধুর্য এখনও অপরিবর্তিত বিশুদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী এবং হৃদয়স্পর্শী।”

যাত্রীদের অপেক্ষা কমাতে মেট্রোর বিশেষ মহড়া গ্রিন লাইনে

তিনি আরও বলেন, “দীপাবলির আসল মিষ্টতা শুধু থালির মিষ্টিতে নয়, সম্পর্ক ও সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে। বলুন, আপনি কীভাবে দীপাবলি উদযাপন করছেন এবং এটিকে বিশেষ করে তুলছেন?” একটি পৃথক পোস্টে তিনি দেশবাসীকে আনন্দ ও সমৃদ্ধির দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “ভারত যেন আনন্দের প্রদীপে আলোকিত হয়, প্রতিটি ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসার আলো ছড়িয়ে পড়ুক।”

Advertisements

ভিডিওতে দেখা যায়, রাহুল গান্ধী চাঁদনি চকের এই বিখ্যাত মিষ্টির দোকানে পৌঁছেছেন। দোকানের মালিক তাঁকে স্বাগত জানিয়ে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তারা রাহুলের দাদি, বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য মিষ্টি তৈরি করেছেন।

হাসিমুখে মালিক মজা করে বলেন, এখন তারা অপেক্ষা করছেন সেই দিনের জন্য, যখন তারা রাহুল গান্ধীর বিয়ের জন্য মিষ্টি তৈরি করবেন। এই মন্তব্যে রাহুল হেসে ফেলেন, যা ভিডিওতে একটি হালকা মুহূর্ত হিসেবে ধরা পড়েছে।

ভিডিওতে রাহুল গান্ধীকে দোকানের কর্মীদের সঙ্গে মিলে মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেখা যায়। তিনি ব্যাটার মেশান, ইমারতি তৈরির জন্য তেলে মিশ্রণ ঢালেন এবং লাড্ডু গড়েন। তিনি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরির কঠিন পরিশ্রম ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই কারিগরি ও স্বাদ সময়ের পরীক্ষায় টিকে আছে।” তাঁর এই সহজ ও স্বাভাবিক অংশগ্রহণ দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

ঘণ্টেওয়ালা মিষ্টির দোকান দিল্লির প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিখ্যাত মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলোর একটি। ১৭৯০ সালে লালা সুখ লাল জৈন এই দোকান প্রতিষ্ঠা করেন, এবং বর্তমানে এটি সপ্তম প্রজন্মের হাতে পরিচালিত হচ্ছে। এই দোকান শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তার ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ও গুণমানের জন্য বিখ্যাত।

তবে, ২০১৫ সালে আর্থিক সংকটের কারণে দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ নয় বছর পর, ২০২৪ সালে এই ঐতিহাসিক দোকান আবার খুলেছে, যা চাঁদনি চকের বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জন্য একটি আনন্দের বিষয়। ঘণ্টেওয়ালার মিষ্টি শুধু খাবার নয়, এটি দিল্লির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অংশ।