র‌্যাগিংয়ের দায়ে তেলেঙ্গানায় চার মেডিকেল পড়ুয়া সাসপেন্ড

তেলেঙ্গানার (Telangana) নালগোন্ডা জেলার সরকারি মেডিকেল (medical) কলেজে (students) র‌্যাগিংয়ের (ragging) অভিযোগে চারজন সিনিয়র ছাত্রকে সাসপেন্ড (suspended) করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর, হোস্টেলে একটি মারাত্মক র‌্যাগিংয়ের…

Telangana medical students suspended

তেলেঙ্গানার (Telangana) নালগোন্ডা জেলার সরকারি মেডিকেল (medical) কলেজে (students) র‌্যাগিংয়ের (ragging) অভিযোগে চারজন সিনিয়র ছাত্রকে সাসপেন্ড (suspended) করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর, হোস্টেলে একটি মারাত্মক র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে কেরালার পাঁচজন জুনিয়র ছাত্রকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর, আহত ছাত্ররা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে, কলেজ কর্তৃপক্ষ সিনিয়র চার ছাত্রকে এক থেকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাটি তদন্ত করে এবং প্রাথমিক তদন্তে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে, কমিটির সভার পর চার সিনিয়র ছাত্রকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

ঘটনাটি তেলেঙ্গানার মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও, রাজ্যে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, র‌্যাগিং একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে ছাত্ররা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় এবং কখনো কখনো জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এই ঘটনার পর তারা র‌্যাগিং বিরোধী পদক্ষেপ আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটতে না দেওয়ার জন্য ছাত্রদের প্রতি সচেতনতা তৈরি করা হবে। এছাড়া, তারা অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটির কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার কথাও বলেছে।

Advertisements

এদিকে, এ ঘটনায় কেরালার ছাত্রদের পরিবার ও শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। তারা দাবি করেছেন, র‌্যাগিংয়ের শিকার হওয়া ছাত্রদের প্রতি শাস্তির পরিবর্তে তাদের সহানুভূতির সঙ্গে সমাধান করা উচিত ছিল। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।

এ ঘটনার পর, তেলেঙ্গানার অন্যান্য মেডিকেল কলেজগুলোতে র‌্যাগিং প্রতিরোধে আরও কড়া নজরদারি ও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।