কর্তব্য পথে প্রথমবার ভারতের ‘প্রলয়’, যে মিসাইল দেখে ভয়ে কাঁপে চিন-পাকিস্তান

R-Day Pralay Missile: প্রথমবারের মতো, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। স্বল্প পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয় ভূ-পৃষ্ঠ…

Pralay missile displayed at Kartavya Path (Republic Day Parade)

R-Day Pralay Missile: প্রথমবারের মতো, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। স্বল্প পরিসরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয় ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে (surface-to-surface missile) আঘাত হানতে সক্ষম। এটি ভারতের প্রথম প্রচলিত আধা-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এর অংশগ্রহণ অনেক দিক থেকেই বিশেষ। এটি শুধুমাত্র দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের প্রতীক নয়, এটি দেখায় যে ভারত দ্রুত প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

R-Day Pralay Missile: প্রলয় মিসাইলের পাল্লা ৪০০ কিমি পর্যন্ত

   

আমরা যদি প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলি তবে এর পাল্লা 400 কিমি। এটি মোবাইল লঞ্চার থেকে চালু করা যেতে পারে। সেনাবাহিনীর তালিকায় এটি সারফেস-টু-সার্ফেস ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) অস্ত্রাগারে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তবে এটি একটি সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।

 

R-Day Pralay Missile: ভারতের প্রথম সেমি-ব্যালিস্টিক মিসাইল

Pralay Missile

প্রলয় ভারতের প্রথম কৌশলগত সেমি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি কৌশলগত যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। এটি নিজের সাথে 350 থেকে 700 কেজি প্রচলিত অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এই বিশেষত্ব এটিকে আরও মারাত্মক করে তোলে। প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র উড্ডয়নের সময় অ্যাক্রোব্যাটিক্স করতে সক্ষম। এই ইন্টারসেপ্টরটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ফাঁকি দিতে এবং বাতাসে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের পরে তার পথ পরিবর্তন করতে সক্ষম। প্রলয় ভারতের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত থেকে যে কোনো প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দিতে পারে।

R-Day Pralay Missile: সামরিক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে, কর্তব্য পথে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজে দেশের সামরিক শক্তি এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতো। ইন্দোনেশিয়ার 352 সদস্যের মার্চিং এবং ব্যান্ড দলও কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।