“কয়েকজনকে জেলে ঢোকালেই…”, কৃষকদের বিচালি পোড়ানো নিয়ে কি বলল Supreme Court?

নয়াদিল্লি: সামনেই উৎসবের মরশুম। তারপরেই শীতের গোড়ায় পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা বিচালি (stubble) পোড়ানো শুরু করেন। যার জেরে দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ ঢেকে যায় ধোঁয়াশার…

নয়াদিল্লি: সামনেই উৎসবের মরশুম। তারপরেই শীতের গোড়ায় পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকেরা বিচালি (stubble) পোড়ানো শুরু করেন। যার জেরে দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ ঢেকে যায় ধোঁয়াশার চাদরে। রাজধানীর পথে তখন মাস্ক ছাড়া বেরনো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। বাতাসে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে দেশের পরিবেশপ্রেমীরা দীপাবলির বাজির পাশাপাশি কৃষকদের বিচালি পোড়ানোকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আসছেন।

এবার এই সমস্যার সুদূরপ্রসারী সমাধান “গ্রেফতারি” বলে মত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার বিচালি পোড়ানো নিয়ে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (B R Gavai) বলেন, “কয়েকজনকে জেলে ঢোকালেই বাকিদের মধ্যে বার্তা পৌঁছে যাবে”। কৃষকদের জন্যই দেশের মানুষের মুখে অন্ন জোটে বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “তার মানে এই নয় যে কেউ পরিবেশ রক্ষা করতে পারবেন না”।

   

পাশাপাশি, পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী রাহুল মেহেরাকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পরিবেশ রক্ষার সঠিক উদ্দেশ্য থাকলে কৃষকদের জন্য কিছু শাস্তির কথা ভাবছেন না কেন? কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে বাকিদের কাছে বার্তা যাবে”। কয়েকটি নিউজ পোর্টালের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি গাভাই বলেন, “আমি জেনেছি, জৈবশক্তি (Bio Fuel) উৎপাদনেও বিচালি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটাকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বানানোর কোনও অর্থই নেই।”

Advertisements

তিনি আরও বলেন, “কৃষকরা দেশের সম্পদ। তাঁদের জন্যই আমাদের মুখে খাবার জোটে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে কিছু করব না”। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বাজি বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং উৎপাদন নিষিদ্ধ করা নিয়ে আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি গাভাই বলেছিলেন, বাজি নিষিদ্ধ করতে হলে তা কেবলমাত্র দিল্লির মধ্যেই সীমিত থাকবে কেন?

এই নিরিখে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা সিএকিউএমকে নোটিশ জারি করে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সূত্রের খবর, বুধবারের শুনানিতে দূষণ বোর্ডে শূন্যপদগুলির জন্যও শীর্ষ আদালত রাজ্যগুলির তীব্র সমালোচনা করে এবং উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবকে তিন মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছে।