রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শুধু সামরিক শক্তিই নয়, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকেও পুতিনের বক্তব্যে ছিল গুরুত্বপূর্ন ইঙ্গিত। ফরেন অ্যাফেয়ার্স এডিটর প্রণয় উপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুতিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বেশ খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাশিয়ার অবস্থান এবং সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
এয়ার মার্শাল (অব.) সঞ্জীব কাপুর সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, S-500 মিসাইল সিস্টেম নিয়ে রাশিয়ার সম্ভাব্য ব্যবসা বা চুক্তি পুরো অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যই বদলে দিতে পারে। তিনি বলেছেন, “যদি S-500 বাজারে আসে, তবে এটি সম্পূর্ণ গেম চেঞ্জার হবে।”
S-500-কে রাশিয়ার নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর দীর্ঘ পরিসরের ট্র্যাকিং ক্ষমতা এবং উচ্চ নির্ভুলতার কারণে এটি প্রতিপক্ষের এয়ার ডিফেন্সকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই মিসাইল সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি কৌশলগত ভারসাম্যকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। ম্যানেজিং এডিটর সন্দীপ উনিথন নিশ্চিত করেছেন যে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে আরও পাঁচটি S-400 স্কোয়াড্রন এবং Su-57 ফাইটার জেট ক্রয়ে আগ্রহী। এটি ভারতের সামরিক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
S-400 সিস্টেম ইতিমধ্যেই ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নতুন স্কোয়াড্রন যোগ হলে দেশের এয়ার ডিফেন্স আরও কার্যকর হবে। একই সঙ্গে Su-57 ফাইটার জেট ভারতকে আধুনিক বায়ুসেনার সামর্থ্যে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সাক্ষাৎকারের আলোচনায় ডা. তারা কার্থা আরও বিস্তৃতভাবে নতুন ভূ-রাজনীতির দিকগুলো তুলে ধরেছেন। পুতিন সম্প্রতি মস্কোয় মার্কিন দূতজোড়া জ্যারেড কুশনার ও স্টিভ উইটকফ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতি ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন চিত্র ধরা দিয়েছে।
