পাঞ্জাব উপনির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোটগ্রহণ

বুধবার পাঞ্জাবের (Punjab) চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (bye-election) বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ (percent) ভোটগ্রহণ রেকর্ড করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটারদের…

Punjab bye-election

short-samachar

বুধবার পাঞ্জাবের (Punjab) চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (bye-election) বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ (percent) ভোটগ্রহণ রেকর্ড করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভোটারদের (voter) মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা ছিল। তবে, কিছুটা উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল ডেরা বাবা নানক কেন্দ্রে, যেখানে AAP (আম আদমি পার্টি) এবং কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে একটি ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষ ছাড়া, নির্বাচন প্রক্রিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ছিল।

   

উল্লেখ্য, উপনির্বাচনটি গিদ্দেরবাহা, ডেরা বাবা নানক, চাব্বেওয়াল (এসসি) এবং বার্নালা বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলির বর্তমান বিধায়করা লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের আসন শূন্য হয়েছিল, যার কারণে এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। দুপুরের পরে ভোটার উপস্থিতির হার কিছুটা বৃদ্ধি পায়, এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।

এই উপনির্বাচনে মূলত AAP, কংগ্রেস এবং শিরোমনি অকালি দল (SAD) প্রার্থী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ভোটারদের মধ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা সবার আগে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ছুটে এসেছেন।

ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে দলীয় নেতা এবং কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। তবে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সজাগ ছিলেন।

এদিকে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানান, ভোটের তথ্য আসার পর উপস্থিতির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ হতে সময় লাগবে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাঞ্জাবের এই উপনির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করছে।

এছাড়া, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হলে ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তবে বর্তমানে ভোটের পরিবেশ পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।