নয়াদিল্লি: লাদাখকে রাজ্যের স্বীকৃতি এবং ষষ্ঠ তহসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবীতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ প্রখ্যাত সমাজ-জলবায়ু কর্মী তথা গবেষক-ইঞ্জিনিয়ার সোনম ওয়াংচুক ওরফে “বাস্তবের র্যাঞ্চো”-র মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠল CPI(M)। শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে, “কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় সোনমকে আটক করা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ববাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ” বলে উল্লেখ করে সিপিআই(এম)।
সেইসঙ্গে ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) অবলম্বে মুক্তির দাবি তোলেন তাঁরা। লাদাখের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে বলে কটাক্ষ করে বামেরা। শুধুমাত্র লাদাখের সাধারণ মানুষই নয়, গণতন্ত্রের উপরেও বড় আঘাত বলে মনে করছেন তাঁরা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপে লাদাখের মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা আরও গভীর হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিআই(এম)।
শুধু ওয়াংচুকের দ্রুত মুক্তিই নয়, সেইসঙ্গে “জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া সমস্ত মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পূর্ণ সুরক্ষা, আন্দোলনের ন্যায্য দাবিগুলি দ্রুত গ্রহণ এবং সর্বোপরি লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে”, বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
#CPIM Polit Bureau demands #SonamWangchuk‘s immediate releasehttps://t.co/u8AQksoR2J pic.twitter.com/daPa26svb9
— CPI (M) (@cpimspeak) September 27, 2025
নাটকীয়ভাবে সোনমের গ্রেফতারি
বুধবার লাদাখের রাজপথে যুবক-যুবতীদের সংঘর্ষের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিখ্যাত গবেষক-ইঞ্জিনিয়র তথা সমাজ ও জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk) ঘৃতাহুতি দিয়েছেন অভিযোগে শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করে লেহ পুলিশ। সোনমের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় সাংবাদিক বৈঠকের আগে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় লাদাখের ডিজিপি, এস ডি সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই আইনের আওতায় জামিনের সম্ভাবনা ছাড়াই দীর্ঘদিন আটক করে রাখা যায় অভিযুক্তকে।
বৃহস্পতিবার তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সোনমের বিরুদ্ধে আরও নানন অভিযোগে তদন্তে নামে সিবিআই। এসব অভিযোগ নিয়ে সোনম অবশ্য বলেন, “এই কারণে গ্রেফতার হতে আমার কোনও খেদ নেই”।