ভগবানের নামে জনসাধারণের জায়গা দখল করা যায় না: মাদ্রাজ হাইকোর্ট

ভগবান যদি সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করে নেয় তাহলে তাঁকেও সরতে হবে। তিনি নিজে সরে না গেলে তাঁকে জোর সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনই মন্তব্য করল…

Madras High Court

ভগবান যদি সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করে নেয় তাহলে তাঁকেও সরতে হবে। তিনি নিজে সরে না গেলে তাঁকে জোর সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনই মন্তব্য করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (High Court)।

চেন্নাইয়ের কাছে আরুলমিঘু পালাপাত্তারাই মারিয়াম্মান তিরুকোইল নামে একটি কমিটি মন্দির তৈরির নামে জনসাধারণের ব্যবহার্য একটি রাস্তা দখল করে নিয়েছিল। ওই রাস্তা দখল করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নিম্ন আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালত ওই মন্দির কমিটির বিরুদ্ধেই নির্দেশ জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের হয়।

   

মামলার শুনানিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির দায়ের করা দ্বিতীয় আবেদনের শুনানি গ্রহণ করছিলেন। শুনানিতে বিচারপতি আনন্দ বলেন, ঈশ্বর যদি জনসাধারণের জায়গা দখল করে নেন তাহলে আদালত এ ধরনের দখলদারি বন্ধের নির্দেশ দেবে।

কারণ সবার আগে জনস্বার্থকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। আইনের শাসন বলবৎ করতে হবে। কে বা কার নামে জায়গা দখল করেছে তা নিয়ে আদালত একেবারে উদ্বিগ্ন নয়। আদালত এটাই স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, ঈশ্বরের নামে জায়গা দখল করা, তাঁর মূর্তি বা মন্দির নির্মাণ করে আদালতকে কখনওই ঠকানো যাবে না। আমাদের দেশে মন্দিরের কোনও অভাব নেই। সেই সব মন্দিরেই মানুষ গিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে পারবেন। ভগবানের মন্দির গড়ার নামে জনসাধারণের জায়গা দখল করে মন্দির নির্মাণ আদালত কখনওই অনুমোদন দেবে না।

একই সঙ্গে আদালত এই মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থানীয় পুরসভার ভূমিকার সমালোচনা করেছে। পুরসভা একসময় ওই মন্দির কমিটিকে দখল করা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু ওই নোটিস পাওয়ার পরেও মন্দির কর্তৃপক্ষ দখলকৃত জমি ছেড়ে দেয়নি। যদিও পুর কর্তৃপক্ষ পরে এ বিষয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুরসভার এই ভূমিকা নিয়েও এদিন বিচারপতি আনন্দ কটাক্ষ করেছেন।