লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্কে সোমবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবিকে চ্যালেঞ্জ করলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নেহরু–সুভাষ পত্রাবলির উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে চিঠির কিছু অংশ বেছে উদ্ধৃত করেছেন, বাকিটা গোপন রেখেছেন।
প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য
প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য—১৯৩৭ সালে জওহরলাল নেহরু যে চিঠি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে লিখেছিলেন, তার পূর্ণাঙ্গ অংশে স্পষ্ট বলা আছে যে, ‘বন্দে মাতরম’-এর বাকি স্তবক নিয়ে আপত্তি ছিল মূলত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তৈরি করা অভিযোগ, যা নেহরু সমর্থন করেননি। তাঁর দাবি, মোদী সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি এড়িয়ে গিয়েছেন।
দিনের শুরুতেই লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন—নেহরু নাকি জিন্নার আপত্তি মেনে নিয়েছিলেন এবং মনে করতেন ‘আনন্দমঠ’–এর প্রেক্ষাপট মুসলিম সমাজকে উসকে দিতে পারে। মোদীর ভাষায়—“২০ অক্টোবর নেহরুজি নেতাজিকে চিঠি লিখে জানান, তিনি জিন্নার অনুভূতি মেনে নিয়েছেন। গানটির প্রেক্ষাপট মুসলিমদের আঘাত করতে পারে।”
নেহরু সাম্প্রদায়িকশক্তিকে সমর্থন করেননি Priyanka Gandhi accuses PM Modi of hiding Nehru letter context
এই বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘‘বন্দে মাতরম’-এর বাকি স্তবক নিয়ে যে আপত্তির কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে সাম্প্রদায়িক শক্তিদের তৈরি করা বিতর্ক—নেহরু সেই মতকে সমর্থন করেননি।’’
কংগ্রেসের দাবি, নেহরু কখনও ‘বন্দে মাতরম’-এর মাহাত্ম্য বা জাতীয় আবেগ নিয়ে আপত্তি জানাননি। বরং গানটিকে বিভাজনের রাজনীতির হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি—এটাই কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ।
লোকসভায় বিতর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছে মোদীর বক্তব্য ঘিরে। ঐতিহাসিক দলিল–নথি নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের এই তীব্র মুখোমুখি অবস্থান সংসদের পরিবেশকে আরও রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

