দিল্লি ভোটের দিনই মহাকুম্ভ মেলা পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াগরাজ সফর যাত্রা। সংবাদ সূত্রে খবর, তিনি বুধবার মহাকুম্ভ মেলা পরিদর্শন করতে এবং সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে…

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রয়াগরাজ সফর যাত্রা। সংবাদ সূত্রে খবর, তিনি বুধবার মহাকুম্ভ মেলা পরিদর্শন করতে এবং সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে যেতে পারেন।

দিল্লি নির্বাচনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর

   

প্রধানমন্ত্রীর মহাকুম্ভ মেলা সফর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দিল্লির ৭০টি আসনের জন্য এই নির্বাচনে মোট ৬৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের ফলাফল ৮ ই ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লির নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বেরিয়ে প্রয়াগরাজে ধর্মীয় উদ্দেশ্যের সফরে যাচ্ছেন। এই সফর একদিকে যেখানে ত্রিমুখী প্রতিযোগিতার মধ্যে মুখোমুখি হবে আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস এবং বিজেপি, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করবেন।

ভুটানের রাজা মহাকুম্ভ মেলায় যোগদান

মঙ্গলবার ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগায়েল ওয়াংচুক মহাকুম্ভ মেলায় সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। তিনি তার জাতীয় পোশাক “ঘো” পরিধান করে লখনউ বিমানবন্দরে আসেন। এবং সেখানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাকে স্বাগত জানান। এরপর রাজা সঙ্গমে স্নান করতে যাওয়ার আগে সূর্যদেবের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য প্রদান করেন।

উপ-রাষ্ট্রপতি ধঙ্করের প্রয়াগরাজ সফর

উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধঙ্কর গত শনিবার তাঁর পরিবারসহ মহাকুম্ভ মেলায় সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেন। তিনি মহাকুম্ভ মেলাকে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, এটি ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এক বিরল উপলক্ষ্য, যেখানে কোটি কোটি ভক্ত একত্রিত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রয়াগরাজ সফর

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৭ জানুয়ারি প্রয়াগরাজ সফর করেছিলেন। তিনি মহাকুম্ভ মেলায় যোগদান করেন এবং সঙ্গমে পবিত্র স্নান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এই মেলাকে “সনাতন সংস্কৃতির ধারাবাহিক প্রবাহের এক অনন্য প্রতীক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং সেখানে গিয়ে শঙ্করাচার্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

মহাকুম্ভ মেলা ভারতের ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক মহান মিলনমেলা, যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত পবিত্র স্নান এবং প্রার্থনার জন্য একত্রিত হন। এটি একটি বিরল সুযোগ, যা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য ধর্মীয় ঐক্য এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ খুলে দেয়।