রায়পুর সফরে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যজুড়ে উৎসবের আবহ

রায়পুর: আগামী ১ নভেম্বর ছত্তিশগঢ় রাজ্যের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস বা রজতজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে রাজ্যের সঙ্গে উদযাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় রায়পুরে পৌঁছবেন এবং সেখানে রাত্রিবাস করবেন। পরের দিন, অর্থাৎ ১ নভেম্বর, তিনি রাজ্যজুড়ে আয়োজিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

Advertisements

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর ঘিরে রায়পুরে পাঁচটি বড় ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালে ২,৫০০ শিশুর সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতা, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী সংস্থার নতুন ভবনের উদ্বোধন, ছত্তিশগঢ় বিধানসভার নতুন ভবনের উদ্বোধন এবং আদিবাসী জাদুঘরের উদ্বোধন।

ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেউ সাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরকে রাজ্যের জন্য “অসীম গর্বের বিষয়” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “এই বছর ছত্তিশগঢ় রাজ্য তার গৌরবময় ২৫ বছর পূর্ণ করছে। রাজ্যোৎসব ২০২৫ হবে আমাদের সাফল্যের প্রতিচ্ছবি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমন রাজ্যের উন্নয়ন ও ঐক্যের বার্তা বহন করবে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে আমরা নকশালবাদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে নকশাল দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কার্যকর পুনর্বাসন নীতির কারণে ক্রমশই মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করছে। রাজ্যে শান্তি ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।”

Advertisements

রায়পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা একাধিক স্তরে সাজানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। রায়পুর শহরের বিভিন্ন এলাকা সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায় এবং ব্যানার-হোর্ডিংয়ে মোড়া হয়েছে রাজপথ।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ থেকে আলাদা হয়ে ছত্তিশগঢ়ের জন্ম হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর রাজ্য দিবস রাজ্যজুড়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়। কিন্তু ২০২৫ সালের রাজ্যোৎসব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি রাজ্যের ২৫ বছরের সাফল্য, অগ্রগতি ও ঐক্যের প্রতীক।

রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, হস্তশিল্প মেলা এবং শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার আশা করছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতি রাজ্যবাসীর মধ্যে নতুন উদ্যম ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে।