লোকসভা ভোটে তৃণমূল কটা আসন পেতে চলেছে, নদিয়ার তেহট্টের সভা থেকে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল গোটা দেশে ১৫টা আসনও পাবে না। ওই ১৫টা আসন নিয়ে তৃণমূল সরকার গঠন করবে? কংগ্রেস এইবার সারা দেশে ৫০টা আসনও পাবে না। তাই সরকার কেউ যদি গঠন করতে পারে, সেটা হল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
ইন্ডি জোটকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা তো নির্বাচনে জিতেই গিয়েছি। এবার টার্গেট হল ৪০০-র বেশি আসন পাওয়া। আমরা যখন ৪০০-র বেশি আসন পাওয়ার জন্য লড়ছি, তখন ইন্ডি জোটের নেতারা লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়ার জন্য লড়ছে। গোটা দেশে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কে হবে, এই নিয়েই লড়ে চলেছে ইন্ডি জোট।
তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, গরিবের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তৃণমূল। সব লুটের হিসেব হবে। গরিবের রেশন পর্যন্ত ছাড়েনি ওরা। তৃণমূলের আমলে বাংলায় শুধু গুন্ডা-মাফিয়ারাই রাজ করছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালি থেকে শুরু করে সিএএ এবং মতুয়াদের প্রতি তৃণমূলের বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মোদী।
সিএএ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতুয়া ভাইবোনদের সঙ্গে যখনই কথা বলি, তাঁরা বঞ্চনার কথা জানায়। মতুয়াদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ আনা হয়েছে। ভেবেছিলাম সিএএ সমর্থন করবে তৃণমূল। তবে সিএএ-র সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে ওরা। তুষ্টিকরণ আর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে কোনও লাভ হবে না। সিএএ ওরা আটকাতে পারবে না। মতুয়ারা সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে আগামী ১৩ মে নির্বাচন হতে চলেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি টিকিট দিয়েছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্যা অমৃতা রায়কে। তৃণমূল বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেই ভোটে দাঁড় করিয়েছে। সিপিএমের টিকিটে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটের লড়ছেন এম এস সাদি।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল, দু’দফার ভোট ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ৭ মে, চতুর্থ ধাপে ১৩ মে, পঞ্চম ধাপে ২০ মে, ষষ্ঠ ধাপে ২৫ মে এবং সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।