গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধীর ৭৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে । এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন “পূজ্য বাবুকে তার পুণ্য তিথিতে শ্রদ্ধা…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধীর ৭৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে । এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন “পূজ্য বাবুকে তার পুণ্য তিথিতে শ্রদ্ধা জানাই। তার আদর্শ আমাদের একটি উন্নত ভারত গড়ে তুলতে প্রেরণা জোগায়। আমি আমাদের জাতির জন্য শহীদ হওয়া সকল শহীদকে শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের সেবা ও ত্যাগ স্মরণ করি।”

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজ ঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছিলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথিরা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধঙ্কর, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী সঞ্জয় সেঠ এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

   

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্জে এবং লোকসভায় বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীও রাজ ঘাটে গান্ধী স্মৃতিস্তম্ভে ফুলের শ্রদ্ধা জানান।

মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত সরকার প্রতি বছর ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে এই দিনটি পালন করে। এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য তার অসীম ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এই দিনে সারা দেশে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করা হয়।

জাতীয় আর্কাইভস অব ইন্ডিয়া এবং জাতীয় গান্ধী মিউজিয়াম জাতীয় চলচ্চিত্র আর্কাইভস অব ইন্ডিয়া এবং প্রচার ভারতী আর্কাইভসের সহযোগিতায় একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর শিরোনাম “জার্নি অফ দ্য মহাত্মা: থ্রু হিজ অউন ডকুমেন্টস”। এই প্রদর্শনীটি মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও সংগ্রামের এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবে। প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করবেন মহাত্মা গান্ধীর নাতনি তারা গান্ধী ভট্টাচার্য, যিনি জাতীয় গান্ধী মিউজিয়ামের চেয়ারপারসন।

এই প্রদর্শনীতে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেমন তার পোরবন্দর থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথচলা, তার সংগঠনের অংশীদারিত্ব এবং তার ব্যক্তিগত চিঠিপত্র ও নথিপত্রের মাধ্যমে দর্শকদের জীবনের এক অনন্য চিত্র তুলে ধরা হবে। প্রদর্শনীটি জাতীয় গান্ধী মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মহাত্মা গান্ধীর নীতিমালা, অহিংসার দর্শন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য তার সংগ্রাম আজও ভারতের জনগণের মধ্যে প্রেরণার উৎস। তার মৃত্যুবার্ষিকী শুধু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন নয়, এটি আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানানোর দিনও