Prime Minister Modi Announces Loan Up to ₹33 Lakh Crore Under the PM Mudra Yojana
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (পিএমএমওয়াই) অধীনে ৩৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জামানতবিহীন ঋণ স্বীকৃত হয়েছে। এই স্কিমটি অসংখ্য ব্যক্তিকে তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
মুদ্রা যোজনার ১০তম বার্ষিকী
মুদ্রা যোজনার ১০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি নিজের বাসভবনে এই প্রকল্পের কয়েকজন নির্বাচিত সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প দেশের যুব সমাজের মধ্যে উদ্যোক্তার মনোভাব জাগিয়ে তুলেছে এবং তাদের চাকরি প্রার্থী হওয়ার পরিবর্তে চাকরি প্রদানকারী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) এই যুগান্তকারী প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ‘অর্থায়নবিহীনদের অর্থায়ন’ করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির (এমএলআই) মাধ্যমে জামানতবিহীন প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ প্রদান করা হয়। এই উদ্যোগটি গত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
প্রধানমন্ত্রী (modi) তাঁর বক্তব্যে বলেন
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মুদ্রা যোজনা শুধু একটি ঋণ প্রকল্প নয়, এটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি মাধ্যম। এটি আমাদের যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস দিয়েছে। যারা একসময় চাকরির জন্য লাইনে দাঁড়াতেন, তারা আজ নিজের ব্যবসা শুরু করে অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করছেন।” তিনি আরও জানান যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ স্বীকৃত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও প্রভাব
মুদ্রা যোজনার মূল লক্ষ্য ছিল ছোট উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যারা প্রথাগতভাবে ব্যাঙ্ক ঋণের জন্য জামানত দিতে পারতেন না। এই প্রকল্প তিনটি বিভাগে ঋণ প্রদান করে—শিশু (৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত), কিশোর (৫০,০০০ থেকে ৫ লক্ষ টাকা) এবং তরুণ (৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা)। এর ফলে গ্রামীণ ও শহুরে উভয় এলাকার মানুষই উপকৃত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী (modi) জানান, এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো এটি নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করছেন। তারা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, তাদের পরিবার ও সমাজের জন্যও একটি নতুন পথ তৈরি করছেন।” পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুদ্রা যোজনার সুবিধাভোগীদের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশই মহিলা।
রক্তক্ষরণ কাটিয়ে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান, ১২০০ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স
সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতা
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে মুদ্রা যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এই আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা তাদের সাফল্যের গল্প শেয়ার করেন। একজন সুবিধাভোগী, যিনি শিশু ঋণের মাধ্যমে একটি ছোট দোকান শুরু করেছিলেন, জানান যে, আজ তিনি একটি সফল ব্যবসার মালিক এবং তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। আরেকজন নারী উদ্যোক্তা বলেন, তিনি মুদ্রা ঋণের সাহায্যে একটি সেলাইয়ের ব্যবসা শুরু করেছেন এবং এখন তাঁর গ্রামের অনেক মহিলাকে কাজ দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই গল্পগুলি শুনে উৎফুল্ল হয়ে বলেন, “আপনাদের সাফল্যই আমাদের প্রেরণা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শুধু ঋণ দিচ্ছি না, আমরা একটি নতুন ভারত গড়ছি।”
অর্থনীতিতে প্রভাব
মুদ্রা যোজনা গত ১০ বছরে ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) বিকাশে সহায়তা করেছে, যা দেশের জিডিপির একটি বড় অংশের জন্য দায়ী। এছাড়াও, এই প্রকল্পটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে এবং বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি ভারতীয়কে স্বনির্ভর করা। মুদ্রা যোজনা এই লক্ষ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা চাই আমাদের যুবক-যুবতীরা শুধু স্বপ্ন না দেখে, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিক।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মোদী আরও বলেন যে, সরকার এই প্রকল্পকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছে। তিনি জানান, আগামী দিনে আরও বেশি মানুষকে এই স্কিমের আওতায় আনা হবে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হবে।
মুদ্রা যোজনার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এটি আমাদের সকলের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমরা একসঙ্গে একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তুলছি।”