বিশাখাপত্তনমের শ্রী বরাহলক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে (temple) চন্দনোৎসব উৎসবের সময় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যু এবং চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার মধ্যরাতে ভারী বৃষ্টির কারণে একটি অস্থায়ী দেয়াল ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লিখেছেন
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে দেয়াল ধসে নারীসহ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমার চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির সঙ্গে রয়েছে। আহতরা যেন শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ওঠেন।” তিনি এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
চন্দ্রবাবু নায়ডুর শোক
অপরদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এই ঘটনায় গভীর শোক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার মন্দিরে (temple) ভগবানের নিজা রূপম দর্শনের জন্য বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। মধ্যরাতে ভারী বৃষ্টির কারণে সারিতে থাকা ভক্তদের ওপর একটি দেয়াল ধসে পড়ে, যার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নায়ডু মন্ত্রী অনম রামনারায়ণ রেড্ডি, ডোলা বালা বীরাঞ্জনেয় স্বামী, ভাঙ্গালাপুডি অনিতা, অনাগানি সত্য প্রসাদ, ভারত রাম এবং সিমহাচলম মন্দিরের ট্রাস্টি অশোক গজপতি রাজু-সহ একটি টেলিকনফারেন্স করেন। তিনি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ (temple)
মুখ্যমন্ত্রী নায়ডু ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রতিটি পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও, নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে এন্ডোমেন্টস বিভাগের অধীনে মন্দিরে আউটসোর্সিং ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
জগন্নাথ আসছেন! আজ দিঘার হোটেলগুলিতে শুধুই নিরামিষ খাবার
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন
আহতদের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকবে। তিনি ভক্তদের অসুবিধা এড়াতে ধ্বংসস্তূপ (temple) অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোর আনুমানিক ২:৩০টার দিকে।
একটি ২০ ফুট লম্বা অস্থায়ী কাঠামো ধসে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। এক এসডিআরএফ জওয়ান জানিয়েছেন, মধ্যরাতে ভারী বৃষ্টির কারণে এই কাঠামো ধসে পড়ে।
চন্দনোৎসব উৎসবের সময় এই মন্দিরে (temple) প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হল ভগবানের নিজা রূপম দর্শন। তবে এবারের উৎসব দুর্ঘটনার কারণে শোকের ছায়ায় ঢাকা পড়েছে । স্থানীয় প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
একটি দুঃখজনক অধ্যায়
এই ঘটনা বিশাখাপত্তনমের সিমহাচলম মন্দিরের (temple) ইতিহাসে একটি দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। মন্দিরের ট্রাস্টি অশোক গজপতি রাজু জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে মন্দিরের অবকাঠামো এবং ভক্তদের জন্য সারি ব্যবস্থাপনার উন্নতি করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবার্তা পোস্ট করছেন। বিশাখাপত্তনমের এই ঘটনা শুধু অন্ধ্রপ্রদেশ নয়, গোটা দেশের মানুষের মনে আঘাত হেনেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নায়ডু এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মুর শোকবার্তা এবং সহায়তার ঘোষণা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য কিছুটা হলেও সান্ত্বনার কারণ হতে পারে। তবে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
উদ্ধার (temple) কাজ এখনও চলছে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের সকলকে মন্দিরে ভক্তদের নিরাপত্তা এবং অবকাঠামোর গুণগত মান নিয়ে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়। সরকার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
President Expresses Condolences Over Tragic Temple Collapse