মহাকুম্ভ উপলক্ষে চলা স্পেশাল ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটল হারপালপুর স্টেশানে। ট্রেনটি ঝাঁসি থেকে প্রয়াগরাজের(Prayagraj)দিকে যাওয়ার পথে হারপালপুর স্টেশানে পৌঁছানোর পর, যাত্রীরা বেশ কিছু সময়ের জন্য ট্রেনের দরজা খোলা না পাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর তারা পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা ভেঙে ফেলে। যার জেরে ট্রেনের ভিতরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যেমে দেখা যায়, পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা ভেঙে ফেলছে কিছু যাত্রী। ভিডিওতে শোনা যায় কিছু যাত্রী সন্ত্রস্ত কণ্ঠে বলে উঠছেন, “তারা আমাদের মেরে ফেলতে চাইছে। এখানে মহিলাও আছেন, বাচ্চারাও আছেন।”
যাতে দেশব্যাপী ভক্তরা প্রয়াগরাজ পৌঁছাতে পারেন তার জন্য এই ট্রেনটি বিশেষভাবে চলছিল। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ট্রেনটি ঝাঁসি থেকে প্রায় রাত ৮টায় ছেড়ে গিয়েছিল এবং প্রায় দুই ঘন্টার পথ পার হয়ে হারপালপুরে পৌঁছায়। সেখানে যাত্রীরা ট্রেনের দরজা বন্ধ দেখে হতাশ হয়ে ওঠেন। সেই সময় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা ভেঙে দেয়, যার ফলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
হারপালপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ পুরুষ্পক শর্মা জানিয়েছেন, “ট্রেনটি যখন প্রায় ভোর ২টা নাগাদ স্টেশনে পৌঁছায়, তখন কিছু লোক পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা ভেঙে দেয়।” ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে কোনও বড় ধরনের হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় রেলওয়ের মুখপাত্র মণোজ সিং জানান, “হারপালপুর স্টেশনে বেশ কিছু যাত্রী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু যখন তারা ট্রেনের দরজা বন্ধ দেখতে পায়, তখন তারা অস্থির হয়ে পড়ে এবং উত্তেজিত হয়ে পাথর ছোড়ে।” তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের শান্ত করেন এবং তাদের যাত্রা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, “আমরা যাত্রীদের কাছে অনুরোধ করছি, যেন তারা সহযোগিতা করেন এবং যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। সে জন্য সবাই একসাথে কাজ করেন। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলার জন্য ভক্তদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা।”
এই ঘটনাটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে যাত্রীদের অনুভূতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।