‘ভোট পেয়ে লোক ঠকাবনা’! দাবি পিকের

Prashant Kishor

দ্বারভাঙা, ২০ সেপ্টেম্বর: শনিবার, বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এক জনসভায় জনগণের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আপনারা আমাকে ভোট দিলে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করব না, এর কী গ্যারান্টি? এই কারণেই আমি ভোট চাই না। কিন্তু মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আমি আপনাদের এমন একটি সমাধান দেব, যা আপনাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবে।

Advertisements

সেই পথ অনুসরণ করুন, তারপর যাকে ইচ্ছা ভোট দিন। যদি তা না ঘটে, তাহলে আপনার ছেলে, আপনার ভাই প্রশান্ত কিশোরের গলা ধরে ঝাঁকান।” এই বক্তব্য জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর বিহারের জনগণের মধ্যে নতুন আশা জাগিয়েছে। রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর এখন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। এই দলের আদর্শের মাধ্যমে বিহারের রাজনীতিতে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন।

   

তাঁর এই বক্তব্যে তিনি ভোটের রাজনীতির পরিবর্তে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর লক্ষ্য হল দারিদ্র্য দূর করা এবং বিহারের মানুষকে স্বনির্ভর করা। তিনি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে জনগণের কাছে একটি ব্যবহারিক সমাধান উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি বিহারের দীর্ঘদিনের সমস্যা, যেমন দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং শিক্ষার অভাবের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “বিহারের মানুষ বছরের পর বছর ভোট দিয়ে এসেছেন, কিন্তু তাদের জীবনে পরিবর্তন আসেনি। আমি সেই পুরনো পথে হাঁটতে চাই না। আমি চাই আপনারা আমার কথা শুনুন, আমার দেওয়া সমাধান বাস্তবায়ন করুন। যদি তা কাজ না করে, তাহলে আমাকে দায়ী করুন।” তিনি জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবমুখী এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ফলপ্রসূ হবে।

তিনি জনগণের উদেশ্যে বলেন প্রথমে মানুষ ৪০ ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। তারপর ১৫-২০ বছর লালু যাদব বিহারে রাজত্ব করেছেন। এখন নীতিশ কুমারও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিহারে রাজত্ব করছেন। কিন্ত কেউ শিক্ষা, কর্ম সংস্থানের প্রতি নজর দেননি। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু আপনারা যদি আমাকে সুযোগ দেন আমি জানি কি করে বিহারকে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।

Advertisements

জন সুরাজের এই সভায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যারা প্রশান্ত কিশোরের কথায় উৎসাহিত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, “প্রশান্ত কিশোর ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন না, সমাধান দিচ্ছেন। এটাই বিহারের জন্য নতুন আশা।”

তবে কেউ কেউ তাঁর এই দাবিকে অতি উচ্চাভিলাষী বলে সমালোচনাও করেছেন। তারা বলছেন, দারিদ্র্য দূর করার মতো জটিল সমস্যার সমাধান এত সহজে সম্ভব নয়।প্রশান্ত কিশোর তাঁর বক্তব্যে জনগণকে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমার পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে আমাকে প্রশ্ন করুন। আমি পালাব না।”

প্রতি ৩০ মিনিটে কোটিপতি হন এক ভারতীয়

তাঁর এই সাহসী বক্তব্য বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জন সুরাজ পার্টি এখন বিহারের গ্রামীণ এলাকায় তাদের প্রচার জোরদার করছে, এবং প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্য তরুণ ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।