ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও তার পরবর্তী সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় মুখর হলেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) পিকে)। তাঁর দাবি, যখন ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের উপর কড়া প্রতিশোধ নিচ্ছিল এবং কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে পাকিস্তান ব্যাকফুটে ছিল, তখন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যথার্থ হয়নি(Prashant Kishor)
বিহারের পূর্ব চম্পারণে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পিকে(Prashant Kishor) বলেন, “সংঘর্ষবিরতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বিবৃতি(Prashant Kishor) আমি পড়েছি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, পাকিস্তানই যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানিয়েছিল। অর্থাৎ, ভারতীয় সেনার পালটা আক্রমণে পাকিস্তান কোণঠাসা (Prashant Kishor) হয়ে পড়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সেনা একদম সঠিক কাজ করেছে বলেই পাকিস্তান পর্যুদস্ত হয়েছিল। সেনা আধিকারিকরাও জানিয়েছেন, আমাদের আক্রমণে পাকিস্তান ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল।(Prashant Kishor)
এই প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোরের প্রশ্ন—যখন ভারতীয় সেনা স্পষ্টভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, তখন কেন হঠাৎ করে পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষবিরতির (Prashant Kishor) সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তাঁর মতে, এই সময়টা ছিল পাকিস্তানকে আরও শিক্ষা দেওয়ার আদর্শ সময়। “আরও অন্তত দু’দিন পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ভারতীয় সেনার। তখনই ওদের বোঝানো যেত যে ভারত আর আগের মতো নেই,” মন্তব্য পিকের(Prashant Kishor)
তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে(Prashant Kishor) তোপ দেগে বলেন, “যখন কেন্দ্র দেশজুড়ে মক ড্রিল চালিয়ে জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছিল, (Prashant Kishor) তখন দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল যে ভারত এবার পাকিস্তানকে কড়া শিক্ষা দেবে। কিন্তু সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত সেই প্রত্যাশাকে ধাক্কা দিয়েছে।” পিকের মতে, কেন্দ্র একটি আবেগঘন পরিস্থিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে বাস্তব কৌশলের পথ হারিয়েছে(Prashant Kishor)
এই প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার ভূমিকা’ সংক্রান্ত মন্তব্যও খারিজ করেছেন পিকে। তাঁর কথায়, “এটা একান্তভাবেই ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তে(Prashant Kishor) কতটা ভূমিকা রেখেছেন, তা স্পষ্ট নয়। বরং এতে প্রমাণ হয় যে আন্তর্জাতিক কূটনীতির থেকেও বেশি গুরুত্ব ছিল ভারতীয় সেনার প্রতিরোধে।(Prashant Kishor)
সবশেষে কেন্দ্রের প্রতি কটাক্ষ করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “এখন আর সিঁদুরের বাক্স বিলি করে জনতাকে বোকা বানিয়ে লাভ নেই। যখন সেনা (Prashant Kishor) পাকিস্তানকে চাপে ফেলেছিল, তখনই রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে সেই চাপকে কাজে লাগানো যায়নি।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সংঘর্ষবিরতির পরে কি পাকিস্তান (Prashant Kishor) নিজের অবস্থান পরিবর্তন করবে? না কি আবারও সীমান্তে আগ্রাসন চালাবে? আমাদের কি প্রস্তুত থাকতে হবে না আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য?(Prashant Kishor)
পিকে-র এই বক্তব্য ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সূত্রপাত করেছে। তাঁর মন্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে মানবিক দিক বিবেচনা করা হয়েছে, আবার কেউ কেউ পিকের মতোই মনে করছেন, এতে ভারতের কৌশলগত সাফল্যকে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি(Prashant Kishor)
এখন দেখার, কেন্দ্রীয়(Prashant Kishor) সরকার এই সমালোচনার কী জবাব দেয় এবং আগামী দিনে ভারত-পাক সম্পর্ক ও সীমান্ত পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়। তবে প্রশান্ত(Prashant Kishor) কিশোরের কটাক্ষ যে সরকারকে চাপে ফেলেছে, তা স্পষ্ট।