দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক কনসালটেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) জানিয়েছেন, তিনি আগামী পাঁচ বছর শুধুমাত্র বিহারের ভোটকে কেন্দ্র করে কাজ করবেন। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানান। তার কথায়, “আগামী পাঁচ বছর আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল ফোকাস বিহারের নির্বাচন হবে। অন্য কোনো রাজ্য বা কেন্দ্রের রাজনীতিতে আমি এখন আর কনসালটেন্সি করব না।”
প্রশান্ত কিশোর দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় দলের নির্বাচনী কৌশল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিহার, যেখানে তিনি অতীতে নানা নির্বাচনী পরামর্শ দিয়েছেন, সেখানে এবার সম্পূর্ণভাবে নিজেকে উৎসর্গ করতে যাচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, বিহারের ভোটকে কেন্দ্র করে তার দৃষ্টিভঙ্গি কেবল রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং জনগণের সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করাও। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে শুধু কৌশল নয়, মানুষকে বোঝা এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিহারের ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই আমি আমার পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।”
তিনি সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার মতে, বিহারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভিন্ন। এখানে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব রাজনৈতিক ইতিহাস এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। তাই বিহারে কৌশল সাজানোর সময় স্থানীয় বাস্তবতা এবং জনগণের মনোভাবকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রশান্ত কিশোর উল্লেখ করেন, বিহারের ভোট শুধুই একটি রাজনৈতিক লড়াই নয়, বরং এটি সামাজিক পরিবর্তন এবং উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি বলেন, “ভোট কেবল নির্বাচনের জন্য নয়, এটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি সুযোগ। আমরা চাই বিহারের মানুষ তাদের স্বপ্নের শহর এবং গ্রামে উন্নয়ন দেখতে পায়।”
এছাড়াও, তিনি এই বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন যে, আগামী পাঁচ বছরে তিনি কেবল বিহারেই কাজ করবেন এবং অন্য কোনো রাজ্যে বা কেন্দ্রের নির্বাচনী কৌশলে যুক্ত হবেন না। এটি একটি নতুন দিকপ্রদর্শন, যা তাকে একাধারে রাজনীতির কৌশলী এবং জনগণের কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।
