এখন তিনি আর রাজনৈতিক কলাকুশলী নন। সরাসরি রাজনীতিক। লোকসভা ভোটের পরই নিজের দল জন সূরজ পার্টি ঘোষণা করেছে প্রশান্ত কিশোর। আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে তাঁর নতুন দল পথ চলা শুরু করবে। রবিবার এই প্রসঙ্গে পিকে বলেন,
”ওই দিন বিহারের এক কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।”
ভয়ঙ্কর কাণ্ড! নীতীশ কুমারের অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আল কায়দার, তদন্তে পুলিশ
দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিকে জানান, জন সুরজের প্রধান লক্ষ্য দু’টি। এক, বিহার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে যাওয়া বন্ধ করা। এবং দুই, বিহারকে সে রাজ্যের দুই প্রধান রাজনীতিক লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারের শাসন থেকে মুক্ত করা। তবে নতুন দলে নিজের ভূমিকাকে গৌণই রাখতে চেয়েছেন পিকে। রবিবার তিনি বলেন,
“প্রশান্ত কিশোর ২ অক্টোবর কোনও দল গঠন করছেন না। বিহারের এক কোটি মানুষ তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে একজোট হচ্ছেন।” মনে করা হচ্ছে, কর্মসংস্থানের দিকে জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত রয়েছে পিকের এই মন্তব্যে। অন্য দিকে, পরোক্ষে লালুর আরজেডি এবং নীতীশের জেডিইউকেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
চিনের ভয়ে কাঁটা মালদ্বীপ, ফের কেন ভারতের শরণাপন্ন মইজ্জু?
লালুর দল আরজেডি ও নীতীশের জেডিইউর দখলে বিহারে বিপুল সংখ্যক যাদব, দলিত ও সংখ্যালঘু ভোট। বিহারে এই দুই প্রবাদপ্রতীম নেতাদের ছাপিয়ে পিকের নয়া দলকে কতটা ভরসা করতে পারবে বিহারের মানুষ? প্রশ্ন উঠছে এমনই। তবে এই মূহুর্তে দল ভোটে লড়লেও লালু-নীতীশকে ছাপিয়ে যাওয়া পিকের পক্ষে কোনওমতেই সম্ভব নয়, কারণ বিহারের মাটিতে লালু-নীতীশ এখনও অপরাজেয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
হু হু করে নাগরিকত্ব ছাড়ছে ভারতীয়রা, চিন্তায় কেন্দ্র
অতীতে নীতীশের জেডিইউর সক্রিয় সদস্য ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০২১ সালে নীতীশের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই দল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তারপর গতবছর এরাজ্যের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। এবার লোকসভা ভোটের আগে থেকেই তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে চান বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়েছে।