এ যেন অধিকারের সঙ্গে কর্তৃব্যের সংঘাত। তবে, উভয়ের মধ্যে পরস্পর বিরোধীতা নেই। বরং এই দুই কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে ব্রতী হলেন সদ্য মাতৃহারা সহোদর।
দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের সঙ্গে ভোটগ্রহণ চলছে বিহারের জেহানাবাদ লোকসভা কেন্দ্রেও। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত দেবকুলি গ্রামেই বসবাস মিথিলেশ যাদবদের। ভোটের দিনই যাদব পরিবারে বিপর্যয় মেনে আসে। শনিবার ভোরে মাতৃহারা হন মিথিলেশরা।
কার দখলে দিল্লির কুর্সি? বুথ ফেরৎ সমীক্ষার আগেই বোমা ফাটালেন প্রশান্ত কিশোর!
কিন্তু, তা বলে ভোটদান থেকে পিছপা হননি যাদব পরিবারের কোনও ভোটার। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বৃদ্ধার দাহকাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। মিথিলেশরা সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রথমে ভোট দিয়েই মায়ের সৎকারকাজ সম্পন্ন করা হবে।
শুভেন্দুকে ব্যাপক মারধর, হাসপাতাল নিয়ে গেলেন রেখা পাত্র
মৃতার ছেলে মিথিলেশ যাদবের কথায়, ‘আজ আমার মা মারা গিয়েছেন। তিনি আর ফিরে আসবেন না। দাহকাজ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু নির্বাচন তো আর পিছিয়ে যাবে না।নির্বাচন হবে পাঁচ বছরে একবার। তাই, আমরা (যাদব পরিবারের সদস্যরা) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগে ভোট দিয়ে পরে আমাদের মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করব।’
মিথিলেশ যাদবরা জেহানাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের আওতাধীন ১১৫ নম্বর বুথে সকালেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তারপরই মায়ের শেষকৃত্য করতে রওনা দেন।