দীপাবলির আগে রাম মন্দির নিয়ে বিস্ফোরক যোগী

yogi-adityanath-ram-mandir-statement-ayodhya

লখনউ: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় রাম মন্দির এবং রাম জন্মভূমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। একটি জনসভায় তিনি বলেছেন, “যখন আমরা অযোধ্যায় লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব পালন করছি, তখন আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় কংগ্রেস আদালতে দাবি করেছিল যে শ্রী রাম একটি মিথ।

Advertisements

তারা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছিল, শ্রী রামের অস্তিত্ব নেই। আর সমাজবাদী পার্টি? তারা এই অযোধ্যায় রাম ভক্তদের উপর গুলি চালিয়েছিল।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিরোধীদের ‘দ্বিমুখী নীতি’ এবং ভারতের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অপমানের অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে এবং রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত করেছে।

শনির চাঁদে জীবনের চিহ্ন, বিজ্ঞানের প্রাচীনতম নিয়ম ভেঙে দিল এই আবিষ্কার

যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই একই লোকেরা বাবরের সমাধিতে গিয়ে প্রার্থনা করে, কিন্তু যখন রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তখন তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। তাদের এই দ্বিচারিতা আমাদের মনে রাখতে হবে।

তারা ভারতের চিরন্তন বিশ্বাসকে কীভাবে অপমান করেছে, কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছে। তারা শ্রী রামের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। কখনও তারা আক্রমণকারীর সমাধিতে গিয়ে প্রার্থনা করে, আবার ভারতের বিশ্বাসকে অপমান করতে কোনো কসুর রাখে না।”

Advertisements

তিনি উল্লেখ করেন যে, রাম মন্দির আন্দোলনের সময় কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি আলাদা আইনজীবী নিয়োগ করে মন্দির নির্মাণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। “তারা বাধা দিয়েছে, প্রতিবাদ করেছে, কিন্তু আজ আমরা বলতে পারি, তারা গুলি চালিয়েছিল, আর আমরা অযোধ্যায় প্রদীপ জ্বালাচ্ছি,” বলেন যোগী।

রাম জন্মভূমি আন্দোলন ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পর অযোধ্যায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরমে উঠেছিল। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়, এবং ২০২৪ সালে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। এই ঘটনা বিজেপির জন্য রাজনৈতিকভাবে একটি বড় অর্জন ছিল। যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য এই ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে বিরোধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, “যারা রামের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তারা আজ রাম মন্দিরের গৌরব দেখে নীরব। আমরা অযোধ্যাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছি।” তবে সমালোচকদের মতে, এই বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটের মেরুকরণের কৌশল। উত্তরপ্রদেশে ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি রাম মন্দিরকে তাদের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে।