কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে ফের বাড়ল রাজনৈতিক চাপানউতোর। সুকান্ত মজুমদার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন যদি বিজেপি বাংলায় যেতে, তবে কোনো মুসলিম যদি ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাহলে কোনো FIR হবে না।
সেই জায়গায় অ্যাকশন নেওয়া হবে। এই মন্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন “মমতার রাজ্যে মুলসিমরা কোনও দোষ করতেই পারে না। তিনি আরও বলেছেন মমতার ‘দুধেল গাই’ সংস্কৃতিতে শুধু আছে মুসলিম তোষণ।
He is right. In other words, it will be the end of the maxim, “A Muslim can do no wrong” and Mamata’s ‘dudhel gai’ culture.
Mohandas Gandhi began this culture back in 1921 when, after Moplah Muslims slaughtered some 10,000 Hindus in Malabar, he called the Moplahs ‘God-fearing’. https://t.co/Vum0xpa6qf
— Tathagata Roy (@tathagata2) October 28, 2025
Jio দিচ্ছে দারুণ সুযোগ! ২০০-র কমে আনলিমিটেড ৫জি ডেটা, সঙ্গে ফ্রি কলিং
কিন্তু বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।” উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেছেন “এই সংস্কৃতি কোনও নতুন ঘটনা নয়। তাঁর মতে, এর শুরু হয়েছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সময়েই। ১৯২১ সালে মোপলাহ বিদ্রোহে প্রায় দশ হাজার হিন্দু নিহত হয়েছিলেন, কিন্তু তবুও গান্ধী সেই মোপলাহ মুসলমানদের “God-fearing Muslims” বলে বর্ণনা করেছিলেন।
তথাগত বলেন, “সেই সময় থেকেই এক ধরনের একপাক্ষিক সহনশীলতা ও পক্ষপাতদুষ্ট সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যা আজও আমাদের রাজনীতিতে রয়ে গিয়েছে।” তথাগত তার পোস্টে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন এই পক্ষপাত আর সহ্য করা হবে না। বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরী হলে সুকান্তের কথা মত সেখানেই চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইতিহাসের এই তুলনা এবং বক্তব্য ঘিরেও নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য রাজ্যের সংবেদনশীল সামাজিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এক বিশ্লেষক বলেন, “বাংলার রাজনৈতিক ঐতিহ্য বহুত্ববাদ এবং সহাবস্থানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই ধরনের মন্তব্য সেই ঐতিহ্যকেই চ্যালেঞ্জ জানায়।” তথাগতের মন্তব্যের সমর্থনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
তাদের মতে এই তোষণ নীতির জন্যই পশ্চিমবঙ্গে এই অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছে। মমতা সরকার বেআইনি ভাবে ওবিসি সার্টিফিকেট পাইয়ে দিয়েছেন বহু মুসলিমকে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তার বেশিরভাগ ই বাতিল হয়ে গিয়েছে।
তারা মুর্শিদাবাদ, মোথাবাড়ি, মহেশতলার মতো ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেছেন এই রাজ্যে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এই ধরণের দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছে এবং তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মমতা সরকার। কিন্তু এই অরাজকতা বেশিদিন চলতে পারে না এবং এর জন্য কড়া পদক্ষেপ দরকার বলেও মনে করেছেন অনেকেই।


