ইস্তফা দিলে আর মিলবে না সরকারি চাকরি-সুযোগসুবিধা, সিনিয়রদের কড়া বার্তা রাজ্যের

আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar protest) সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা নবান্নের। গণইস্তফার নিয়ম আছে। ব্যক্তিগতভাবে নির্দিষ্টভাবে ইস্তফা দিতে হয়। এইভাবে গণইস্তফা আইনসিদ্ধ নয়।…

west bengal govt tought messege to senior doctors resignation amid junior doctors hunger strike

আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar protest) সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা নবান্নের। গণইস্তফার নিয়ম আছে। ব্যক্তিগতভাবে নির্দিষ্টভাবে ইস্তফা দিতে হয়। এইভাবে গণইস্তফা আইনসিদ্ধ নয়। প্রশাসন ইস্তফার কোনও পত্র এখনও পর্যন্ত পায়নি। সরকার ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করলে কাজ চালিয়ে যেতে হবে ডাক্তারদের। আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা ইস্যুতে মঙ্গলবার বিকেলে এমনটাই জানাল রাজ্য প্রশাসন। 

senior doctors resign: আরজি করের পথেই গণইস্তফার হুমকি কলকাতা মেডিক্যালের ডাক্তারদেরও

   

এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, ইস্তফা দিলে আগামীদিনে আর কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধাগুলিও আর পাবেন না সংস্লিশ্ট ডাক্তারেরা। ফলে ডাক্তারদের অনশন ও গণইস্তফা ইস্যুটি নিয়ে আরও জটিলতা বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

‘AK 56’ এর ম্যাজিক, উপত্যকায় আম আদমিতে পরাজিত ‘পদ্ম’

দশ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতার কারণে মঙ্গলবার গণইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। এবার আরজি করের দেখানো পথেই হাঁটছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরা। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই সমস্ত দাবি না মিটলে ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। সিনিয়রদের দাবি, রাজ্য প্রশাসন যেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়। কারণ তাঁরা কর্মবিরতি তুলে নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে এখনও কোনও হেলদোল নেই রাজ্য প্রশাসনের।

গণহত্যা মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ভারত ত্যাগ? বাংলাদেশ সরকার বলছে জানা নেই!

গত সপ্তাহেই দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত শনিবারই জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্ণামঞ্চে যোগ দেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। তারপরেই আরও তীব্রতর হয় আন্দোলন। তবে পুজোর মুখে যখন ভিড় বাড়ছে, তখন ডাক্তারদের এই আন্দোলন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। রাজ্যের এই কড়া বার্তার পর ডাক্তারদের অনশন-আন্দোলন কোনদিকে মোড় নেয় এবার সেটাই দেখার।