দিলীপের নীরবতায় নানা জল্পনা

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রোজ মর্নিংওয়াকে। রোজ নানা বাইট। ভোটে হারার পর থেকে এই চেনা ছবি বদলে গিয়েছে। দিলীপ (Dilip Ghosh) মর্নিং ওয়ার্কে যাচ্ছেন ঠিকই।…

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রোজ মর্নিংওয়াকে। রোজ নানা বাইট। ভোটে হারার পর থেকে এই চেনা ছবি বদলে গিয়েছে। দিলীপ (Dilip Ghosh) মর্নিং ওয়ার্কে যাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু মুখ খুলছেন না। দিলীপের এই নীরবতাই কি অনেক কিছু বলে দিচ্ছে।

অনেকের ঘুম ভাঙার আগেই তিনি মর্নিংওয়াকে। সকাল সকালই সুর চড়ান দিলীপ। মর্নিং ওয়াকেই সাংবাদিক বৈঠক। নানা বিষয়ে নানা বাইট। দিলীপের নানা মন্তব্যে বিতর্ক হয়েছে। কড়া বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেন্সরও করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তারপরও দিলীপ থেকেছেন দিলীপেই। চব্বিশে ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও নেতৃত্বকে নিশানা করতে থাকেন।

   

কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে দিলীপ একেবারে স্পিকটি নট। একবর বলেছেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। পার্টির লোকেরা বলবে। আমি কিছুই দেখতাম না।’ দিলীপের এই নীরবতা নিয়েই এখন নানা মহলে নানা জল্পনা। উঠে আসছে নানা সম্ভাবনার কথা। দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর ফেরত পাঠানো হতে পারে। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।

মুসলিমদের পাশাপাশি মতুয়া ভোটব্যাংকের গুরুত্ব বাড়ছে বঙ্গে

দ্বিতীয় সম্ভাবনা হচ্ছে, মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে দিলীপ জিতলে তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুকে করা হতে পারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আরও একটি সম্ভাবনার কথাও ঘুরছে। তা হল, দিলীপ ঘোষকে ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। বসানো হতে পারে সুকান্ত মজুমদারের চেয়ারে। যে সুকান্ত মজুমদারকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে।

বাংলায় রাজনীতির ময়দানে এসে থেকেই চালিয়ে খেলেছেন দিলীপ ঘোষ। প্রথমে রাজ্য সভাপতি। তারপর বিধায়ক। তারপর সাংসদ। তাঁর আমলেই বাংলায় বিজেপি দুই থেকে এক লাফে ১৮ হয়েছে। রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সারা রাজ্য চষে ফেলেন দিলীপ ঘোষ। নানা জায়গায় গিয়ে ক্ষোভের মুখেও পড়েন। কোথাওই কিন্তু পালটা দিতে দেরি করেননি দিলীপ।

রুদ্ধদ্বারে ক্রুদ্ধ দিলীপ! শুভেন্দুহীন বিজেপির বৈঠকে কি হল?

সেই দিলীপ ঘোষ ভোটে হারার পরে এখন এক্কেবারে চুপ। দিল্লি থেকে ঘুরে এসে মুখে কুলুপ। শুক্রবার তিনি বিধানসভায় যান। প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন। কিন্তু কোনও বাইট দেননি। মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি অফিসেও যান। কিন্তু, সেখানেও চুপচাপ বিজেপির দাবাং নেতা।

দিলীপ চুপ। কিন্তু এদিন তিনি পার্টি অফিস থেকে বেরোতেই স্লোগান। দিলীপের নীরবতাই কি অনেক কিছু বলে দিচ্ছে? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত।