আর মাত্র দশ দিন। নভেম্বরের ৫ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন (US Election2024)। তার আগেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিক যুযুধান দুই শিবিরই। ভোটের ময়দানে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ ট্রাম্প (Donald Trump)-কমলা (Kamala Harris) দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই। তবে এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার নিরিখে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ৪৮ শতাংশ অর্থ্যাৎ সমান সমান ভোট সমর্থনে দাঁড়িয়ে। এই খবরটি প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি জানিয়েছে, দুটো দলই মূলত সাতটি ‘সুইং স্টেটের’ সমর্থনের ওপর বেশি জোর দিতে চাইছে। মূলত নেভাডা, পেনসেলভেনিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা ও উইসকন্সিনের মতো ‘সুইং স্টেটস’ গুলিই মার্কিন রাজনীতির দিক নির্দেশ করে।
লাদাখ থেকে দূরে হঠছে চিন, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত পরিকাঠামো প্রত্যাহারে সম্মত দুই দেশ
বিগত তিন মাস ধরেই মার্কিন ভোটকে কেন্দ্র করে দুপক্ষই আগ্রাসী প্রচার নীতি অনুসরন করে এসেছেন। ট্রাম্পের ওপর নাশকতামূলক হামলা সেই সময় গোটা বিশ্বতে চমকে দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে। এমনকী তাঁর হয়ে প্রচারে নেমেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মূলত কৃষ্ণাঙ্গ ভোট কাছে টানতেই কমলার হয়ে প্রচারে নেমেছেন ওবামা।
আজকের বদলে কবে ছাড়বে এই ট্রেন! সদ্য ঘোষণা করে জানাল রেল
অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) খোলাখুলি সমর্থন জানালেন বিশ্বের বিখ্যাত টেক-তাইকুন এলন মাস্ক (Elon Musk) । ট্রাম্পের জন্য একাধিক সভায় দেখা গিয়েছে টেসলার মালিককে। ভরা সভায় তিনি ট্রাম্পের ভোট প্রচারের মূলমন্ত্র ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আউড়ে মাস্ক বলেন, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মুহূর্তে কিছু নেই।”
তাঁর এই সমর্থনে উজ্জীবিত ট্রাম্প সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশ্যে তখন তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প হেরে যায়, তাহলে এটিই হবে শেষ নির্বাচন। কারণ ডেমোক্র্যাটেরা ক্ষমতায় এলে আমাদের সংবিধানসিদ্ধ বন্দুক ব্যবহার ও বাক স্বাধীনতার ওপর অনেক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এই ভোট আমাদের সংবিধান ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার লড়াই।”
তবে মার্কিন দেশের শেষ কয়েকটি টিভি বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলে বলে গোল দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। মূলত নেভাডা, পেনসেলভেনিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা ও উইসকন্সিনের মতো ‘সুইং স্টেটস’ গুলিই মার্কিন রাজনীতির দিক নির্দেশ করে।
East Bengal FC : এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সাংবাদিক বৈঠকে অনুপস্থিত অস্কার, তাহলে!
আর ভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রেও এই রাজ্যগুলির ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে ওই সমীক্ষার মতে এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে ছিল কমলাই। তবে আগামী একমাসে অর্থ্যাৎ অক্টোবরের শুরুতে এই তিন পয়েন্টের ব্যবধান কমলা আরও কতটা বাড়াতে পারেন অন্যদিকে ট্রাম্প কীভাবে এই ব্যবধান মিটিয়ে কমলাকে টেক্কা দিতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ববাসী। তখনও পর্যন্ত মার্কিন দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ মনে করতেন কমলা হ্যারিসই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, অন্যদিকে ৪০ শতাংশ ট্রাম্পকেই বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের নেতা হিসেবে।
কিন্তু এবার দুজনের ভোট সমর্থন সমান-সমান হওয়ায় মার্কিন নির্বাচনের লড়াই আরও জমে উঠল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল।