তেলেঙ্গানা উপনির্বাচনের মনোনয়নে অভিনব কান্ড

telangana-jubilee-hills-by-election-nominations

হায়দ্রাবাদ: তেলেঙ্গানার জুবিলি হিলস বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। নির্বাচন কমিশনের অফিসে মঙ্গলবার থেকে নামপত্র যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে মোট ২২১ জন প্রার্থী ৩২১টি নামপত্র দাখিল করেছেন। এই অভূতপূর্ব সংখ্যক নামপত্রের মধ্যে অনেকগুলোই বহুবচন নামপত্র, যা প্রার্থীরা নিরাপত্তার জন্য করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisements

নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, কারণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সর্বোচ্চ ৩০০ জন প্রার্থীর নাম ধারণ করতে পারে। যাচাইয়ের ফলাফলের পরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে, এবং ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা নামপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। এই উপনির্বাচন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে, এবং ১৪ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জুবিলি হিলস কেন্দ্রটি তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদের একটি প্রতিষ্ঠিত এবং ধনী এলাকা, যা আইটি হাব এবং বিলাসবহুল বাসস্থানের জন্য বিখ্যাত। এখানকার উপনির্বাচনের পটভূমি ২০২৫ সালের জুনে বিআরএস (ভারত রাষ্ট্র সমিতি) এমএলএ মাগান্তি গোপীনাথের হৃদরোগে মৃত্যুর পর গঠিত হয়েছে। গোপীনাথ ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিআরএসের জন্য জয়লাভ করেন, এবং তার মৃত্যুতে এলাকার রাজনীতিতে শোকের ছায়া পড়ে।

বিআরএস এবার তার স্ত্রী মাগান্তি সুনীতাকে প্রার্থী করে দিয়েছে, যিনি স্থানীয় ভোটারদের সহানুভূতি আকর্ষণ করার আশায় রয়েছেন। অন্যদিকে, শাসক কংগ্রেস পার্টি ভি নবীন ইয়াদবকে দায়িত্ব দিয়েছে, যিনি দলের দুই বছরের শাসনকালের সাফল্যের ভিত্তিতে ভোট চাইছেন। বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) এই নির্বাচনকে ২০২৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছে এবং তাদের ভোট শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে লড়াই করছে।

Advertisements

নামপত্র দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৫ অক্টোবর, কিন্তু প্রথম ছয় দিনে মাত্র ৯৪ জন প্রার্থী এগিয়ে এসেছিলেন। গতকাল, ২১ অক্টোবর শেষ তারিখে হঠাৎ ১১৭ জন প্রার্থী নামপত্র দাখিল করে সবাইকে অবাক করে দেন। এর মধ্যে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী, যাদের মধ্যে রয়েছেন ভূমি অধিগ্রহণের কারণে প্রভাবিত বেসামরিক ব্যক্তিরা।

জুবিলি হিলস এলাকায় আরআরআর (রেভেন্যু রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন) প্রকল্পের জন্য শত শত পরিবার ভূমি হারিয়েছে, এবং তারা এই নির্বাচনকে তাদের অভিযোগ তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। একজন প্রার্থী বলেছেন, “আমরা শুধু ভোট চাইছি না, আমাদের জমির জন্য ন্যায় চাই।

এই নির্বাচন আমাদের কণ্ঠস্বর বাড়ানোর সুযোগ।” এছাড়া, কিছু প্রার্থী রাজনৈতিক দলের নামে লড়ছেন না, বরং স্থানীয় সমস্যা যেমন যানজট, পরিবেশ দূষণ এবং আবাসন সুবিধার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।