চেন্নাই: তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে বাড়ল উত্তাপ। ডিএমকে’র পর এবার রাজ্যের সিপিআই(এম) সুপ্রিম কোর্টে দৌড়েছে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের (SIR) বিরুদ্ধে। এই বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া, যা ভোটার তালিকা নতুন করে তৈরি করার নামে চলছে আসলে তঞ্চকতা এমনটাই অভিযোগ করেছে বামেরা।
সরকার থেকে শুরু করে বিরোধী দল, সকলে এটাকে গণতন্ত্রের উপর হামলা হিসেবে দেখছে। আর এর মধ্যে সিপিআই(এম)-এর এই নতুন আবেদন এসেছে যেন আগুনে ঘৃতাহুতির মত। কোর্ট মঙ্গলবার এই মামলা শুনবে, আর রাজ্যের রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।প্রথমে বুঝে নেওয়া যাক, এই এস.আই.আর. আসলে কী। নির্বাচন কমিশন অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে, ঠিক ২৭ তারিখে, একটা নোটিফিকেশন জারি করে।
শেষ ল্যাপে নীতীশ কুমার: ক্লান্তির প্রাচীর পেরিয়ে কি ফিরবেন ‘সারভাইভার-ইন-চিফ’?
এতে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুসহ ১২টা রাজ্য আর কয়েকটা ইউনিয়ন টেরিটরিতে ভোটার তালিকার বিশেষ তীব্র সংশোধনী চালানো হবে। এর অধীনে বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবে, নতুন ফর্ম ভরাবে , আর ফেব্রুয়ারি ৭ তারিখের মধ্যে নতুন তালিকা প্রকাশ করবে। কেন? কমিশন বলছে, মৃত ভোটারদের নাম মুছে ফেলতে, অবৈধ ভোটারদের বাদ দিতে। কিন্তু সমালোচকরা বলছে, এটা তো পুরো তালিকা নতুন করে বানানোর চেষ্টা!
গত জানুয়ারিতে তো স্পেশাল সামারি রিভিশন (এসএসআর) হয়েছে, সেটা কি অপ্রয়োজনীয় ছিল? এখন আবার এস.আই.আর. চালিয়ে লক্ষ লক্ষ সত্যিকারের ভোটারকে বঞ্চিত করা হবে। বিশেষ করে দরিদ্র, প্রবাসী, বয়স্ক মানুষরা এই যাচাইয়ের ফাঁদে পড়বে। ডিএমকে এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ জানায়। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পার্টি সংগঠন সেক্রেটারি আরএস ভারতী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
তারা বললেন, এটা অসাংবিধানিক, এরোরিট্রারি, আর গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাত। আর্টিকেল ১৪, ১৯, ২১ লঙ্ঘন হচ্ছে। রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্ট আর রেজিস্ট্রেশন অফ ইলেকটর রুলসেরও বাইরে গেছে এই সিদ্ধান্ত। সময় তো দুই মাস মাত্র, আর তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে মনসুন আর পোঙ্গল উৎসবের মধ্যে এটা চালানো অসম্ভব।
আবেদনে বলা হয়েছে, এতে লক্ষাধিক ভোটারের নাম কেটে ফেলা হবে, যা গণতন্ত্রের মূলে প্রহার। স্ট্যালিন এটাকে ‘ভোটার মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা চেয়েছেন, ২৭ অক্টোবরের নোটিফিকেশন বাতিল করা হোক।


