কলকাতা: দুর্গাপ্রতিমা ভাঙার পর মঙ্গলবার রাতে কালীমূর্তি ভাঙার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কাকদ্বীপের সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চন্দনপুর গ্রামে কালী প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পরেই বিজেপির (BJP) নিশানায় ফের রাজ্য সরকার।
বুধবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম-বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে”। কাকদ্বীপে মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে রাজ্য প্রশাসন ধাপাচাপা দিতে চাইছে বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু।
https://x.com/SuvenduWB/status/1980850635244552377
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। মমতার (Mamata Banerjee) অপশাসনে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেবদেবীদের প্রতিমা ভাঙচুর, মণ্ডপ ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয় নি, যে কারণে এই ধরণের জেহাদি কার্যকলাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুরা এখনি জেগে না উঠলে, সংঘবদ্ধ না হলে সামনে সমূহ বিপদ।”
সেইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি লেখেন, “পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রদিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে দেয় পুলিশ ও ছবি সংগ্রহ করতে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি মমতার নির্লজ্জ প্রশাসন।” যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসকদল।
গত কয়েকদিনে বেশ কিছু নর্দমার কীট মাননীয়া নেত্রীকে নিয়ে কুৎসিত অশালীন পোস্ট দিচ্ছে, গ্রাফিক্স ছাড়ছে, কমেন্টে অসভ্যতা করছে, এমনকি তাঁর বাড়ির কালীপুজোও বাদ দিচ্ছে না। শুধু উপেক্ষা করলে এদের সাহস বাড়তে থাকবে। রাজনৈতিক বিরোধিতা এটা নয়। এসব নোংরামি। মানসিক হতাশা, অবসাদ, নোংরামি…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 22, 2025
অন্যদিকে, বুধবার বিজেপিকে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র এক্সে লেখেন, “গত কয়েকদিনে বেশ কিছু নর্দমার কীট মাননীয়া নেত্রীকে নিয়ে কুৎসিত অশালীন পোস্ট দিচ্ছে, গ্রাফিক্স ছাড়ছে, কমেন্টে অসভ্যতা করছে, এমনকি তাঁর বাড়ির কালীপুজোও বাদ দিচ্ছে না।” উপেক্ষা করলে নেটদুনিয়ার দুষ্কৃতিদের ‘সাহস আরও বাড়তে থাকবে’ বলে দাবী করেন কুণাল। এটা রাজনৈতিক বিরোধিতা নয়, বরং “নোংরামি, মানসিক হতাশা, অবসাদ”-এর নোংরামি মেশান “উদগীরণ” বলে উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।