টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিতর্ক উস্কালেন শুভেন্দু

suvendu-adhikari-slams-tmc-over-toto-registration-west-bengal-2025

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার টোটো রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে সারা বাংলায়। এই পদক্ষেপকে কিন্তু মোটেই ভালো চোখে দেখেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন এই ৫ লক্ষ টোটো রেজিস্ট্রেশন তৃণমূলের পলিটিকাল এজেন্ডা ছাড়া কিছুই নয়।

গুগলের প্রথম এআই হাবের উদ্বোধনকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

তিনি তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন এখন আর তৃণমূলের জনসভায় কোনো লোক হয়না। পাহাড় তাকে উপেক্ষা করেছে। তাই এই রেজিস্ট্রেশন দিয়ে টোটো চালকদের দিয়ে সভা ভর্তি করার পরিকল্পনা করতে চাইছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আর ৬ মাস বাকি তৃণমূল জানে তাদের পতন আসন্ন তাই এত যুবককে টোটো রেজিস্ট্রেশন শংসাপত্র দিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছে মমতা সরকার।

Advertisements

শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে “এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে গরিব টোটো চালকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে। শুভেন্দু সবকিছুর মধ্যেই রাজনীতি খোঁজেন, কিন্তু মানুষ এখন এই পুরোনো অভিযোগে কান দেবে না।”

তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের প্রায় ৮ লক্ষ টোটো চালকের মধ্যে এতদিন অর্ধেকেরও বেশি অনিবন্ধিত ছিল। ফলে নানা সময় দুর্ঘটনা বা পুলিশি হয়রানিতে পড়তে হতো চালকদের। সরকার সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে চায়। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতে, “যদি সরকার সত্যিই টোটো চালকদের উন্নয়ন চায়, তবে তাদের জন্য সঠিক ট্রাফিক নিয়ম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আর্থিক সহায়তা পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। ভোটের আগে এই রেজিস্ট্রেশন মূলত রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সংগঠন শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা।”

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি অনুযায়ী, টোটো রেজিস্ট্রেশনের ফলে চালকদের ইনসিওরেন্স, সাবসিডি, ব্যাঙ্ক ঋণ ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। তবে বিরোধীরা বলছে, এই প্রকল্পের ঘোষণা নির্বাচনের আগের সময়ে রাজনৈতিকভাবে পরিকল্পিত পদক্ষেপ। বিজেপি সূত্রের খবর, তারা শীঘ্রই টোটো চালকদের জন্য বিকল্প আর্থিক প্রকল্পের প্রস্তাব আনবে, যাতে এই ইস্যুকে পাল্টা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

রাজ্য রাজনীতিতে টোটো রেজিস্ট্রেশন এখন নতুন ইস্যু — একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে ভোটের কৌশল। শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষই এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া। নির্বাচনের আগে এই বিতর্ক যে আরও তীব্র হবে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisements