রক্ষাকবচ সরলেও দাগি ভাইপোকে জেলে পাঠানোর হুঙ্কার শুভেন্দুর

suvendu-adhikari-no-sir-no-election-bhawanipur-mamata-banerjee

কলকাতা: আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের চরম রাজনৈতিক বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এক সভায় শুভেন্দু বলেন, “বাংলার মানুষ একটি কথাই বলছে নো SIR নো ইলেকশন! অর্থাৎ পুরনো ভোটার তালিকা দিয়ে আর ভোট নয়। রাজ্যের মানুষ নতুন ভোটার তালিকা চায়, যাতে কোনো ভুয়ো ভোট না পড়ে।”

Advertisements

তবে শুধু ভোটার তালিকা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শুভেন্দু। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর সাফ বার্তা, “আমার লক্ষ্য স্পষ্ট ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতেই হবে। তাঁর দাগি ভাইপো যেন জেলে যায়, এটা বাংলার মানুষের চাওয়া।”

শুভেন্দু দাবি করেন, রাজ্যে বহুদিন ধরে ভোটার তালিকায় গরমিল চলছে। “তিনি বলেন বাংলায় বেলাগাম অবৈধ অনুপ্রবেশ চলছে। বহু মৃত মানুষের নাম আজও তালিকায় আছে, আবার যারা অন্য রাজ্যে চলে গেছে তাদেরও নাম বাদ দেওয়া হয়নি।”

খেজুরির ঘোষ পরিবারের ১৮৪ তম কালীপূজা: জমিদার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার ও অটুট বিশ্বাস

বিজেপি এই অবস্থা মেনে নেবে না,” বলেন তিনি। অধিকারী জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছেন, এবং কমিশন ‘যথাযথ পদক্ষেপ নেবে’ বলে আশাবাদী। শুভেন্দু আরও বলেন, “রাজ্যের মানুষ দুর্নীতি, কাটমানি আর তোলাবাজির রাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ এই সরকারের পতন ঘটাবে। বিজেপি এ রাজ্যে সত্যিকারের পরিবর্তন আনবে।”

Advertisements

রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দুর এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে বিজেপি এখন থেকেই ২০২৬ সালের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর আসন যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে পরিচিত সেটিকে ঘিরেই বিজেপি নেতৃত্বের কৌশল তৈরি হচ্ছে।

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক মুখপাত্র পাল্টা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী জানেন, তিনি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারবেন না। তাই আগেভাগেই অজুহাত তৈরি করছেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সংস্থা, তারা নিজের মতো কাজ করবে।”

তবে রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দুর এই মন্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং বিজেপির আগামী রোডম্যাপের ইঙ্গিতও। বিশেষ করে “নো SIR নো ইলেকশন” স্লোগানটি আগামী মাসগুলিতে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বাংলার রাজনীতিতে শুভেন্দুর এই বার্তা কার্যত নতুন লড়াইয়ের ডাক। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল, অন্যদিকে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি ২০২৬ সালের ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছেই।