মিলন পণ্ডা ( পূর্ব মেদিনীপুর ): পিসি’কে হারিয়েছি, যে পারে আসুন, কুড়ি হাজার লিড হবে, নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানো (Suvendu Adhikari warning) নিয়ে নাম না করে কার্যত খেজুরি’র মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারী দিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম বিধানসভা দাঁড়াবেন। ডায়মণ্ড হারবার থেকে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছেন।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, Maruti Suzuki e-Vitara-র আবির্ভাবের জন্য প্রস্তুত তো?
কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানার দল চাইলে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারি! তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়। সোমবার খেজুরি বিধানসভা বাঁশগড়া বাজারে পরিবর্তন সংকল্প সভা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি’র সভাপতি সোমনাথ রায়, সহ সভাপতি তাপস দলাই বিজেপি বিজেপি নেতৃত্বরা।
এদিন পরিবর্তন সংকল্প সভা কর্মসূচি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ” সভা থেকে সব বামফ্রন্ট খারাপ নয়, অনেক সিপিএম কর্মী আমাদের দলে এসেছেন। দল অনেক বড় হয়েছে। আগামী দিনে অনেক সিপিএম কর্মীর আমাদের দলে আসবেন, যারা ভাল তাদেরকে আহ্বান জানালেন “। এদিন আরও বলেন ” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ধরে রাখবো, রাজ্য থেকে তৃণমূল’কে তাড়াবো। পিসি’কে হারিয়েছি, যে পারে আসুন, কুড়ি হাজার লিড হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারার পর তৃণমূলের স্টকে প্রার্থী আছে বলে আমার মনে নেই “।
পুলিশ’কে হুশিয়ারী সুরে শুভেন্দু’র বলেন ” খেজুরি থানায় ওসি চন্দ্রকান্ত শাসমল সাবধান হয়ে যান। পরে আপনার পরিণতি কি হয় । তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে আমার পিছনে সাতজন আইপিএস লাগিয়েছিল। কিছু করতে পারেনি। তৎকালের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভালো লোক ছিল, দলের নির্দেশ ছিল “।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু’র। তিনি বলেন ” ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতা আসার পর রতন টাটা’কে তাড়িয়েছে! ২০১৬ সালে চাকরি খেয়েছে! ২০২৬ সালের পুনরায় এলে হিন্দুরা থাকবে না। বাংলাদেশের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। বাবা মা এখন ছেলেকে পড়াশোনা ঠিক মতন করাচ্ছেন না। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আছে, কোন চাকরি হচ্ছে না”। অবৈধ অনুপ্রবেশ শুভেন্দু অধিকারী বলেন ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাংলাদেশের হিন্দুরা শরণার্থীরা শত্রু, রোহিঙ্গা ও মুসলমানরা জামাই “।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য পুলিশ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তমলুক লোকসভায় প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন ” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগ্রাওয়াল সঙ্গে ৬০ জন বিধায়ক নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দেখা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার আগে ঘোষণা করেছিলেন অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেবেন। শপথ নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছিল।
পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশ সুপারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? নবান্নে বৈঠক চলছে! কেউ আসতে চাইছে না! বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সাতজন পুলিশ সুপার বদলি হয়েছিল! তারপরও কিছু করতে পারেনি। সব জায়গাতে শুভেন্দু অধিকারী লোক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে? নবান্নের কপিতে কোন বিস্কুট খাবেন সেখানেও লোক রয়েছে “।
