বুথ লেভেল অফিসারের নাম ফাঁস করে দুর্নীতির অভিযোগ শুভেন্দুর

suvendu-adhikari-blo-corruption-tmc-west-bengal-2025

কলকাতা: বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে উত্তাপ। তার আগে রয়েছে SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের পালা। কিন্তু বিজেপি অভিযোগ করেছে কয়েকজন বুথ লেভেল অফিসার যারা তৃণমূলের দলদাস। তারা সক্রিয় ভাবে ভোটার তালিকাকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে এমনটাও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

Advertisements

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার এক্স হ্যান্ডেলে রীতিমত নাম প্রকাশ করে CEO কে আবেদন জানিয়েছেন তাদের অপসারণের জন্য। শুভেন্দুর পোস্টে সবচেয়ে আলোচিত নাম মো. আলাউদ্দিন মোল্লা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ লেভেল অফিসার। তিনি আরও বলেন মো. আলাউদ্দিন মোল্লা হলেন সারিশা আঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।

দ্বিতীয় প্রজন্মের Hyundai Venue-এর ৫টি বদল, যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে

তাঁর স্ত্রী লিয়ালা বিবি ডায়মন্ড হারবার ব্লক নং ২-এর নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য। শুভেন্দুর অভিযোগ, “এই ধরনের রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের BLO হিসেবে নিযুক্ত রাখা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। তারা শাসক দলের স্বার্থে ভোটার তালিকা ম্যানিপুলেট করতে পারে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি, এই ধরনের অফিসারদের অবিলম্বে অপসারণ করা হোক।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্ব শুরু হওয়ায়, এই ধরনের অভিযোগ নির্বাচনী উত্তাপ আরও বাড়াবে। BLO-রা সাধারণত এলাকাভিত্তিক বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা যাচাই ও সংশোধনের কাজ করেন। এই পর্যায়ে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এলে তা পুরো প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

Advertisements

দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। যদি দেখা যায় কোনও BLO রাজনৈতিকভাবে যুক্ত, তবে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।” যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন এখনো কোনও বিবৃতি দেয়নি।

এই ঘটনার জেরে রাজ্যের শাসক-প্রতিপক্ষের মধ্যে নতুন করে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিজেপি দাবি করছে, “তৃণমূল প্রশাসন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখছে।” অপরদিকে, তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, “শুভেন্দু প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।”

রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে শুভেন্দুর এই প্রকাশ্য নামফাঁস ও অভিযোগ কি রাজ্যে নির্বাচনী স্বচ্ছতার দাবিকে শক্তিশালী করবে, নাকি এটি শুধুই রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করার কৌশল? তবে এটুকু নিশ্চিত, নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হতে চলেছে।