HomeBharatবঙ্গে SIR নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের

বঙ্গে SIR নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের

- Advertisement -

নয়াদিল্লি: দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফের চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস সুর্য কান্ত এবং জয়মল্য বাগচির বেঞ্চ SIR সংক্রান্ত আজ একের পর এক আবেদন শুনেছে। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা SIR এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা যুক্তিগুলো নিয়ে আজ শুনানি হল।

কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ জারি করেছে এবং হাইকোর্টগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে এই রাজ্যগুলোতে এসআইআর-সংক্রান্ত যেকোনো পিটিশন অপেক্ষায় রাখতে। বিষয়টি ২৬ নভেম্বরে শুনানির জন্য স্থগিত। এই সিদ্ধান্ত যেন একটা বড় ব্রেক কারণ এসআইআর-এর নামে লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম মুছে যাওয়ার ভয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অশান্তি চলছে। বিহারে তো সেটা ইতিমধ্যে হয়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম ডিলিট।

   

নিলামের আগে এই দুই রিটেইন খেলোয়াড় ছাড়বে শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি!

এখন তামিলনাড়ু, বাংলায় একই ভয়।এসআইআর কী এমন জিনিস যা এতটা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু? সাধারণত বার্ষিক স্পেশাল সামারি রিভিশন (এসএসআর) হয় ভোটার তালিকা আপডেটের জন্য। কিন্তু এসআইআর একটা ইনটেনসিভ প্রসেস হাউস-টু-হাউস ভেরিফিকেশন, নতুন ফর্ম ফিলআপ, সিটিজেনশিপ প্রুফ। ২৪ জুনের নির্দেশে বিহারে শুরু হয়েছে এটা। ফলে ৭.৮৯ কোটি থেকে নেমে এসেছে ৭.৪২ কোটিতে ভোটার সংখ্যা।

দলগুলো বলছে, এতে গরিব, মাইগ্রান্ট, দলিত-মুসলিম ভোটাররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আধার বা ভোটার আইডি পর্যন্ত মেনে নেয়নি প্রথমে, পরে কোর্টের হস্তক্ষেপে যোগ হয়েছে। ২৭ অক্টোবরের দ্বিতীয় ফেজে ১২টা রাজ্য-ইউটিতে ছড়িয়েছে তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পুডুচেরি সহ।

৫১ কোটি ভোটারের তালিকা নতুন করে তৈরি। এনুমারেশন ৪ নভেম্বর থেকে শুরু, ফাইনাল রোল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা যেন একটা ‘ক্লিন আপ’ কিন্তু বিরোধীরা বলছে, এটা ‘ক্লিন সুইপ’ ভোটারদের অধিকারের।

আজকের শুনানিতে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকের আবেদন শীর্ষে। ওরগানাইজিং সেক্রেটারি আরএস ভারতী ফাইল করেছেন। বলা হয়েছে, এসআইআর ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং অবৈধ’। বুথ লেভেল অফিসারদের দুই মাসের মধ্যে হাউস-টু-হাউস যাওয়া, ফর্ম ফিল করা, অনুপস্থিতদের ফলোআপ এটা ‘হিউম্যানলি ইমপসিবল’। আরও বড় অভিযোগ, এতে লক্ষ লক্ষ জেনুইন ভোটারের নাম মুছে যাবে, যা গণতন্ত্রের মূল কাঠামোকে আঘাত করবে।

মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র—সত্যিকারের ভোটারদের সরানোর চেষ্টা’। তিনি এআইএডিএমকে আইডিবিজেপি-সমর্থক বলে অভিযোগ করেছেন। সিপিআই(এম)-এর পি শানমুগমও আলাদা পিটিশন ফাইল করেছেন—বলছেন, এসআইআর-এর কোনো স্ট্যাটুটরি বেস নেই, এটা নির্বাচন কমিশনের ‘কালারেবল এক্সারসাইজ অফ পাওয়ার’। রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট, ১৯৫০ এবং রেজিস্ট্রেশন অফ ইলেক্টরস রুলস, ১৯৬০-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।বাংলায় তৃণমূলের পক্ষে কপিল সিব্বল উঠেছেন।

তারা বলছে, স্টেট গভর্নমেন্টের সঙ্গে কনসালটেশন ছাড়াই চিফ ইলেকটোরাল অফিসার বলেছেন ‘রেডি’। এটা আর্টিকেল ৩২৪-এর অপব্যবহার। তৃণমূলের ডোলা সেনও বিহারের এসআইআর চ্যালেঞ্জ করেছেন। বিহারে তো কোর্ট আগে থেকেই শুনছে ভোটারদের অধিকার, সিটিজেনশিপ ভেরিফিকেশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিহারে ৬৫.২ লক্ষ নাম ডিলিট হয়েছে শুধু ফর্ম না পাওয়ার কারণে। রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব সবাই বলেছেন, এটা ক্রোড়ায় ক্রোড়া নাগরিককে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। বিহারের দ্বিতীয় ফেজ নির্বাচন চলছে আজ, কিন্তু এসআইআর-এর ছায়া পড়েছে সবার উপর।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular