কলকাতা: অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। করলেন সাংবাদিক বৈঠকে এবং সর্বসমক্ষে বুলা চৌধুরীকে তার দিল্লির নিবাসে আমন্ত্রন জানালেন।গত শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য রিচা ঘোষের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন একসময় ইংলিশ চ্যানেল জয়ী এই সাঁতারু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অর্জুন পুরস্কার চেয়েছিলেন। এই মন্তব্যেই উস্কায় বিতর্ক। এরপর একাধিক সাক্ষাৎকারে বুলা চৌধুরী বলেন মমতার মন্তব্য সর্বৈব মিথ্যে। তিনি কস্মিন কালেও মমতার কাছে অর্জুন চাননি। মমতা আরও মন্তব্য করেছিলেন যে বুলা চৌধুরী কমনওয়েলথ গেমসে অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু বুলা তার বক্তব্যে জানান তিনি কখনোই এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেননি।
মতুয়াদের টাকা ফেরতের দাবীতে সরব সুজন চক্রবর্তী
এই বাদানুবাদের পরেই বুধবার বুলার বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং তাকে আমন্ত্রণ জানালেন তার দিল্লির বাসস্থানে। সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার একটি সাঁতার অ্যাকাডেমির কথা বলতে শোনা যায় বুলাকে। সুকান্ত মজুমদারকে তিনি অনুরোধ করেন এই সাঁতার অ্যাকাডেমির জন্য সাহায্য করতে এবং সর্বসমকক্ষে সুকান্ত সেই সাহায্য করতে সম্মত হয়েছেন। এই সাক্ষাতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে বেসুরো বুলার মন্তব্যকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে চাইছে বিজেপি। আবার অনেকেই বলেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে অর্জুন এবং পদ্মশ্রী প্রাপ্ত এই সাতারুকে দলে টেনে নিজেদের দল ভারী করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূল শিবির অবশ্য এই সফরকে “রাজনৈতিক নাটক” বলে ব্যাখ্যা করছে। দলের এক মুখপাত্রের বক্তব্য, “বিজেপি এখন সুযোগ খুঁজছে। কেউ মমতার নাম নিলেই তাঁকে নিজেদের ঘরে টানতে চায়।
কিন্তু বাংলার মানুষ এসব নাটক বোঝে।” অন্যদিকে, বিজেপির এক রাজ্য নেতা পাল্টা বলেন, “আমরা কারও মুখ দেখে আমন্ত্রণ দিই না। বুলা চৌধুরী জাতীয় গর্ব, তাঁকে আমরা সম্মান জানাতে গিয়েছি।” রাজনীতির হিসেব-নিকেশ যাই হোক, বাংলার এই ‘সাঁতার কন্যা’র ঘিরে এখন রাজ্যের রাজনৈতিক জলে ঢেউ উঠেছে প্রবলভাবে। একদিকে বুলা চৌধুরীর সরাসরি আক্রমণ মমতার বিরুদ্ধে, অন্যদিকে বিজেপি নেতার সফর—সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতি এখন কার্যত সাঁতারে মত্ত।


