Lakshmir Bhandar: দ্বিগুণ হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’? কেন এমন মন্তব্য CPM প্রার্থী সৃজনের!

শূন্য় থেকে শুরু! তাই ভোট ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরাও৷ প্রচারে এতটুকু ত্রুটি রাখতে নারাজ প্রবীণ-নবীন সিপিএম প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকেরা৷ একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন ইশতেহার আগেই প্রকাশ…

Lakshmir Bhandar

শূন্য় থেকে শুরু! তাই ভোট ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরাও৷ প্রচারে এতটুকু ত্রুটি রাখতে নারাজ প্রবীণ-নবীন সিপিএম প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকেরা৷ একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন ইশতেহার আগেই প্রকাশ করেছে সিপিএম৷ কিন্তু ভোটযুদ্ধে হারানো জমি ফিরে পেতে কতটা যে মরিয়া বামেরা, তার ফের প্রমাণ পাওয়া গেল যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচার-বক্তব্যে! যাদবপুরে জিততে সিপিএম-এর ভরসা এবার মমতার প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)!

সৃজনের দাবি অনুযায়ী, বর্তমান রাজ্য় শাসকের একাধিক প্রকল্প বাম আমলে চলত৷ বাম রাজত্ব ফিরলে সেই সব প্রকল্পে অর্থের বরাদ্দ দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে বলে! অর্থাৎ যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) শাসকদলের কাছে অন্যতম হাতিয়ার, সম্প্রতি যে প্রকল্পে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে যদি ক্ষমতায় বামেরা আসে, এমনটাই দাবি যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থীর৷

সৃজন বলেন, ‘বুদ্ধবাবুর সময় বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা, বাচ্চা মেয়েদের সাইকেল দেওয়া, ২ টাকা কেজি দরে চাল সবই ছিল। তৃণমূলের সময় আরও দু’টি নতুন প্রকল্প চলছে। সিপিএম কোনও দিন আবার ফিরলে এই প্রকল্পগুলি ডাবল-ডাবল চলবে।’

নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে সৃজনের যুক্তি, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা তৃণমূল সরকার নিয়েছে। সেই টাকার একটি অংশ আবার আমাদের দিচ্ছে। আর একটা বড় অংশ খাটের তলায়, ফ্ল্যাটের তলায় ঢুকে পড়ছে। পার্থ, মানিক, অনুব্রতেরা আমাদের পার্টিতে নেই। আমরা যদি কোনও দিন সুযোগ পাই, মানুষের টাকা যতটা মানুষের কাজে লাগানো যায়, পুরোটা লাগাব। তাতে আজ যিনি হাজার টাকা পাচ্ছেন, তিনি আগামী দিনে দু’হাজার টাকা পাবেন। এটা হতেই পারে। কোনও কিছু বাদ যাবে না।’

একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত যাদবপুরে শেষ বার বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী জিতেছিলেন ২০০৪ সালে। এবার ২০২৪-এ লড়ছেন সৃজন ভট্টাচার্য৷ তরুণ তুর্কীর ওপর ভর করে ভোট বৈতরণী পার করতে পারবে কি সিপিএম? জানতে আরও একটু অপেক্ষা৷