দক্ষিণ দিনাজপুরে চিহ্নিত অবৈধ ভোটার! নীরব পুলিশ

south-dinajpur-illegal-voters-banshihari-police-silence

কলকাতা: বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাফসুতরো ভোটার তালিকা চাই। ঠিক সেই জন্যেই নির্বাচন কমিশন বিহারের মতোই এ রাজ্যেও ঘোষণা করেছে SIR এর। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ ভোটার বাদ দেওয়া। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বংশীহারি থানা এলাকায় দুজন অবৈধ ভোটারের নাম সামনে এসেছে।

Advertisements

অভিযোগ উঠেছে যে তারা অবৈধ ভাবে রাজ্যে প্রবেশ করে বসবাস করছেন এবং ভুয়ো নথি বানিয়েছেন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অভিযোগ করেছে যে তারা বার বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও বংশীহারি থানার পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে শুধু মজা দেখছে।

   

জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত‌্যু এক মহিলার

বিজেপির শীৰ্ষ নেতা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বংশীহারি থানায় দুইজন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ পত্র দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না!

Advertisements

অভিযোগকারী ব্যক্তি যথেষ্ট প্রামাণ্য নথি এমনকি অভিযুক্তদের বাংলাদেশের সচিত্র পরিচয়পত্রও জমা দিয়েছেন। তবুও পুলিশ নির্বিকার!” তিনি আরও দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রাজ্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সুকান্ত আরও অভিযোগ করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ভোটব্যাঙ্ক, তাই প্রশাসন নীরব।”

এই অভিযোগের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রাজনৈতিক তাপমাত্রা বেড়েছে। স্থানীয় মানুষজনের একাংশের বক্তব্য, প্রশাসনের নীরবতা সত্যিই প্রশ্ন তুলছে। “যদি অভিযোগে সত্যতা থাকে, তাহলে তদন্ত হওয়া উচিত,” বলেন এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা। অন্যদিকে শাসক দলের স্থানীয় নেতারা পাল্টা দাবি করেছেন, বিজেপি নির্বাচনের আগে “ভোটার আতঙ্ক” তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গেছে, SIR প্রক্রিয়ায় প্রতিটি জেলার ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লক্ষ্য অবৈধ ভোটার বা মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া এবং যোগ্য নাগরিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসন তদন্ত করবে। তবে বংশীহারির ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান এবং জনসংখ্যার গঠন অনেক সময়ই রাজনীতির আলোচনায় আসে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে এ ধরনের অভিযোগ উঠলে তা রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।