নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর: দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (ইসিআই) ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) ২০২৫-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে এনুমারেশন ফর্ম (ইএফ) জমা দেওয়ার সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে কমিশনের লক্ষ্য—যাতে কোনো বৈধ ভোটার ব্যাড না পড়ে এবং সবাই তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে এই অভিযান, যা প্রায় ৫১ কোটি ভোটারকে প্রভাবিত করছে। স্থানীয় বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) ঘর ঘরে ফর্ম বিতরণ করে চলেছেন, এবং এখন পর্যন্ত ৯৯.৯৩% ফর্ম বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এই খবর ভোটার এবং BLO দের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে, কারণ অনেকে আগের ডেডলাইনের চাপে উদ্বিগ্ন ছিলেন।
সস্তা অফারের ফাঁদে নিঃস্ব হতে পারেন, বাজারে 2000-এর বেশি নকল সাইট
এসআইআর ২০২৫-এর এই দ্বিতীয় ফেজ ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, এবং আগের পরিকল্পনায় ফর্ম জমার শেষ তারিখ ছিল ২৮ নভেম্বর। কিন্তু কমিশনের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কিছু এলাকায় বিতরণ এবং ডিজিটাইজেশনের কাজে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে, যাতে সবাই অবাধে ফর্ম জমা দিতে পারেন। কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বাড়তি সময় ভোটারদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করবে এবং তালিকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।”
এখন পর্যন্ত ৫০.৬৩ কোটি ফর্ম বিতরণ করা হয়েছে, যা মোট ৫০.৯৭ কোটি যোগ্য ভোটারের প্রায় সবার কাছে পৌঁছে গেছে। গোয়া এবং লক্ষদ্বীপে ১০০% বিতরণ সম্পন্ন, যখন উত্তরপ্রদেশে ১৫.৩৯ কোটি ভোটার কভার হয়েছে।ডিজিটাইজেশনের কাজও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ৬৮.৪০% ফর্ম ডিজিটালাইজড হয়েছে, যা ৩৪.৮৬ কোটি ফর্মের সমান। বিএলওরা প্রতি ফর্ম আপলোডে গড়ে ১০ মিনিট সময় নিচ্ছেন, এবং কিছু অ্যাপের গ্লিচের কারণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু কমিশন বলছে, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন হবে।
এসআইআর-এর মূল উদ্দেশ্য—ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তি, দ্বিগুণ নাম এবং অযোগ্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, এবং নতুন ভোটার যোগ করা। বিএলওরা ঘরে এসে প্রি-প্রিন্টেড ফর্ম দিচ্ছেন, যাতে ভোটারের নাম, ছবি এবং অন্যান্য বিবরণ আগে থেকে লেখা থাকে। ভোটারদের শুধু স্বাক্ষর করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। নতুন ফর্মে একটি বিশেষ অংশ যোগ করা হয়েছে—২০০২-২০০৫ সালের পুরনো তালিকায় নিজের বা অভিভাবকের নাম খুঁজে বের করা।
এটি পরিচয় যাচাইয়ে সাহায্য করবে।ফর্ম না পেলে চিন্তা নেই। ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ফর্ম ৬ (নতুন ভোটারদের জন্য) জমা দিয়ে অ্যানেক্সচার আইভি সহ আবেদন করা যাবে। স্থানীয় রিটার্নিং অফিসারের (ইআরও) সামনে শুনানির পর নাম যোগ হবে। চূড়ান্ত তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ প্রকাশিত হবে। কোনো ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে না, শুধু আধার কার্ড পরিচয় যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার হতে পারে। ভোটাররা ইসিআই-এর নেট অ্যাপ বা ১৯৫০ হেল্পলাইনে সাহায্য নিতে পারেন।
