টাটা থেকে গুগল বিনিয়োগের মানচিত্রে নেই বাংলা! বিস্ফোরক শমীক

shamik-bhattacharya-slams-mamata-bengal-missing-from-google-investment-map

কলকাতা: আজ থেকে ঠিক বছর ১৫ আগে টাটাকে রাজ্য ছাড়া হতে হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে। তারপরেই রাজ্যের রাজনীতিতে আসে বিরাট পালাবদল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর গতকাল অন্ধ্রপ্রদেশে গুগল বিনিয়োগ করল ১৫০০০ কোটি ডলার। সবচেয়ে দুঃখের কথা বিনিয়োগের মানচিত্রে কখনোই আসেনি বাংলার নাম।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজ্যে শিল্প হয়নি। এবার তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য। তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে বলেছেন “তৃণমূলের রাজত্বে কারখানা বন্ধ, চাকরি নেই, ভবিষ্যৎ অন্ধকার! SSC দুর্নীতিতে যুবকের হাতে বইয়ের বদলে রায়ের কপি, যোগ্যতার বদলে পার্টির চিঠিই নিয়োগপত্র।

আজকের বাঙালি যুবকরা জানে এই শাসনে পরিশ্রম নয়, তোষণই পুরস্কার। এই বাংলার সন্তানরা আর সহ্য করবে না এই অপমান।” শমীক তার বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বাংলার সরকার ভাতা এবং ভিক্ষে দিয়ে মানুষকে অক্ষম করে দিচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষদের শুধু মাত্র ভাতা এবং বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের তোষণ করে নিজের যদি টিকিয়ে রাখতে চাইছেন।

কিন্তু রাজ্যে শিল্প নেই কর্মসংস্থান নেই এবং রাজ্যসরকার ভাতা এবং ভিক্ষে দিয়ে মানুষকে আরও জবুথবু করে দিচ্ছে। এর জ্বলন্ত প্রমান হিসেবে তিনি SSC দুর্নীতির কোথাও তুলে ধরেছেন। তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন যে বাংলায় শেষ করে বড় শিল্প হয়েছে তা মানুষ মনে করে বলতে পারবে না কিন্তু শুধু লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা বাড়ছে। শমীকের বক্তব্যকে সমর্থন করে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ তারাও একাধিক উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে বাংলায় শিল্প করার কোনো মানুষিকতা নেই সরকারের।

Advertisements

সেই সিঙ্গুর থেকে শুরু করে আজকের দিন অবধি কোনও বড় শিল্প আনতে পারেনি সরকার। উল্টে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোর বার্ষিক ইনসেনটিভ বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে কিছু সংস্থা মামলা করেছে সরকারের বিরুদ্ধে। তারা আরও বলেছেন যে শিল্পপতিরা কি নিরাপত্তা নিয়ে এখানে ব্যবসা করতে আসবে। সরকার নিজেই ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করে বসে আছে।

আর বাংলার মেধাদের বাংলাকার বাইরে পাড়ি দিতে হচ্ছে কর্মসংস্থানের জন্য। এর থেকে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না। তাই শমীক তার পোস্টে স্পষ্ট বলেছেন যে আজকের যুব সমাজ জানে পরিশ্রম করে কোনও লাভ নেই তার চেয়ে রাজ্য সরকারের গুণগান গাইলেই চাকরি হবার সম্ভবনা রয়েছে এই রাজ্যে।