নয়াদিল্লি: সংসদে হুলুস্থুল। শীতকালীন অধিবেশন চলছে তার মধ্যেই সাংসদ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বিস্ফোরক দাবি করলেন (Shamik Bhattacharya Adina Mosque remark)। শুক্রবার রাজ্যসভায় শমীক উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণকে বলেন মালদায় আদিনা মসজিদ নয়, আছে আদিনাথ মন্দির। তিনি আরও বলেন ইতিহাস বদলানো যায়না। একদিন হিন্দুরা ঠিক এই আদিনা মসজিদের কবর খুঁড়বে এবং তার থেকে বেরিয়ে আসবে আসল তথ্য।
শমীক বলেন আদিনা মসজিদ যেখানে রয়েছে সেখানে আসলে ছিল আদিনাথ মন্দির। এবং এই ঐতিহাসিক প্রমান আছে. তার সঙ্গে রয়েছে ASI এর নথি। তিনি সংসদ কক্ষে উপরাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন যাতে এই আদিনাথ মন্দিরের আসল রহস্য উন্মোচন করা যায়। তবে এই ঘটনা প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলেছেন শমীকের দাবি একদম ন্যায্য।
রেপো রেট কমাল আরবিআই: তবে কি সস্তা হতে চলেছে হোম লোন?
একটা সময় মুসলিম শাসনের কালে বাংলা তথা ভারত বর্ষে মুঘলরা হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলে তার উপরে মসজিদ তৈরী করে গিয়েছেন। তারপর থেকেই সেগুলিকে মানুষ মসজিদ হিসেবেই জানে কিন্তু তার পিছনের আসল রহস্য মাটির নিচে চাপাই পড়ে রয়েছে। অনেকেই উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যেমন ASI-এর খননে জ্ঞানবাপীতে মন্দিরের অস্তিত্ব মিলেছে, তেমনি মালদাতেও হোক। বাংলার হিন্দুরা আর চুপ করে থাকবে না। কাশী, মথুরা, আদিনা – একের পর এক ফিরে আসবে।”
তবে বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা সরাসরি এই বক্তব্যকে মেরুকরণের রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে সেক্যুলার বলে দাবি করা কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি শমীকের এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন শমীক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে মন্দির মসজিদ ঢুকিয়েছে বিজেপি। তারা বলেছে ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা পড়ে তখন থেকেই বিজেপি এবং আরএসএস এই ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে এসেছে।
পাল্টা বিজেপির মত মুসলিম শাসকেরা দিনের পর দিন ভারতের হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছে এবং সেগুলি মাটির তলায় চাপা দিয়ে দিয়েছে যাতে মানুষ আসল ইতিহাস জানতে না পারে। আজ শমীক সংসদে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে এবং সরকারের উচিত এই আদিনা মসজিদের আসল তথ্য বের করা এবং দরকার পড়লে তার কবর খুঁড়ে তার তলা থেকে আদিনাথ মন্দিরের ইতিহাস টেনে বের করে নিয়ে আসা যাতে মানুষ ইতিহাস জানতে পারে।

