বিধানসভায় সিপেমূল জোট নিয়ে বিতর্কিত তরুণজ্যোতি

satarup-ghosh-sir-voter-list-controversy-west-bengal-assembly-election-2025

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে বাংলায়। এখন সবার মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যেই জড়িয়ে পড়েছে বাদানুবাদে। বাম যুবনেতা শতরূপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন যে বিজেপি কে ভোটে জেতানোর জন্যই করা হচ্ছে SIR। এতেই চটেছে রাজ্য বিজেপি।

Advertisements

তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলার জন্য বিজেপি বলেছে আগামী বিধানসভায় বাংলার মানুষ দেখতে চলেছে সিপেমূল জোট। বিজেপির নেতা এবং বিশিষ্ট আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন “এরা এখন প্রকাশ্যে নেমে এসেছে তাদের পুরনো সঙ্গী তৃণমূলকে সাহায্য করতে। ২০০২ সালেও পশ্চিমবঙ্গে SIR হয়েছিল তখন ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল ২৮ লক্ষেরও বেশি নাম।

বিহার নির্বাচনে এনডিএর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, দাবি অমিত শাহর

তারপর কী হল? ২০০৪ ও ২০০৬ সালে সিপিএম ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছিল। তাহলে কি তখন নির্বাচন কমিশন সিপিএমকে জেতাতে SIR করেছিল? আজ শতরূপ ঘোষদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তৃণমূলের ন্যারেটিভে হাওয়া দিতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী সততার উপরে প্রশ্ন তুলছে। যদি SIR মানেই বিজেপিকে জেতানো হয়, তাহলে ২০০২ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা কি নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় জিতেছিলেন?

Advertisements

সত্যিটা অন্য জায়গায় আজকের সিপিএম তৃণমূলের বি-টিমে পরিণত হয়েছে। Fake ভোটারদের রেখে দেওয়ার জন্যই এদের এত মরিয়া চেষ্টায়। জনগণ সব দেখছে এরা আর বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তবে তরুণজ্যোতির এই বক্তব্যে সমর্থন করে অনেকেই বলেছেন সিপিএম এমনিতেই শূন্য তাই এখন চেষ্টায় আছে যাতে তৃণমূলের ধামা ধরে ভেসে থাকা যায়।

আবার অনেকেই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের মতন বামেদেরও মুসলিমদের প্রতি গভীর আনুগত্য আছে। তা নাহলে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ জল পাচ্ছে না বলে এরা রাস্তায় নামত না। কিংবা রাজ্যের হাজারটা সমস্যা ভুলে গিয়ে গাজার জন্য ত্রাণ তুলতো না।

তাই তৃণমূল যে পথের পথিক ঠিক ওই একই পথের পথিক বাম বাহিনী। কিন্তু তারা ইটা বুঝতে পারছে না যে তাদের এই মন্তব্য এবং কর্মকান্ড মানুষ দেখছে এবং তাদের ভাবমূর্তি সম্পূর্ণভাবে ভুলুন্ঠিত। সুতরাং তাদের উচিত চুপ করে নির্বাচনের কাজ করা যাতে মাথা থেকে শূন্যের কলঙ্ক ঘোচানো যায়।