পটনা: বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দানে আবারও সরব হয়েছেন। ছাপরা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যে তিনি মহাগঠবন্ধনকে লক্ষ্য করে বলেছেন, “তারা (মহাগঠবন্ধন) কেসরিলাল যাদবকে এখানে পাঠিয়েছে। তাদের আর কোনো উপায় নেই, এখন তারা ছপরায় একজন নাচিয়েকে পাঠিয়েছে।”
চৌধুরীর এই কটাক্ষ রাজ্যের নির্বাচনী উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিয়েছে, যেখানে আরজেডি প্রার্থী কেসরিলাল যাদবকে ‘নাচিয়ে’ বলে অপমানজনকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনা বিহারের রাজনীতিতে জাতিগত ও ব্যক্তিগত আক্রমণের নতুন অধ্যায় যোগ করেছে, যা ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জাগাচ্ছে।
৮ম বেতন কমিশন: DA ও ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরে বড় আপডেট, জানুন বিস্তারিত
ছাপরা বিধানসভা কেন্দ্র বিহারের সারণ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন, যা ঐতিহাসিকভাবে যাদব সম্প্রদায়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এখানে মহাগঠবন্ধনের আরজেডি প্রার্থী কেসরিলাল যাদবকে দলীয় নেতৃত্ব প্রত্যাশিত জয়ের আশায় মাঠে নামিয়েছে। কেসরিলাল একজন স্থানীয় নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আরজেডির সাথে যুক্ত এবং স্থানীয় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু সম্রাট চৌধুরীর এই বক্তব্য তার রাজনৈতিক পটভূমিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেসরিলালের সাথে যুক্ত কোনো নাচ-গানের ঘটনা বা পেশাগত পরিচয় নিয়ে চৌধুরী এমন কথা বলেছেন, যা আরজেডির সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আরজেডির একজন নেতা বলেছেন, “এটা ব্যক্তিগত আক্রমণ, যা রাজনীতির নিম্নতম স্তরে নেমে এসেছে। কেসরিলাল ভাই স্থানীয় সমস্যার জন্য লড়াই করছেন, তাঁকে অপমান করা মহাগঠবন্ধনের শক্তিকে ছোট করার চেষ্টা।”
সম্রাট চৌধুরী, যিনি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিতীশ কুমারের সাথে এনডিএ সরকার চালাচ্ছেন, তাঁর এই বক্তব্য নির্বাচনী প্রচারণার একটি অংশ। তিনি জনসভায় বলেন, “মহাগঠবন্ধনের কাছে আর কোনো দলীয় নেতা নেই, তাই তারা এমন প্রার্থী পাঠাচ্ছে যারা রাজনীতির পরিবর্তে বিনোদনের সাথে যুক্ত।
ছপরায় এনডিএর প্রার্থী ছোটী কুমারী জেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, কিন্তু মহাগঠবন্ধন শুধু জাতিগত সমীকরণ নিয়ে খেলছে।” এই কথায় তিনি আরজেডির জাতিগত রাজনীতিকে লক্ষ্য করে বলেছেন যে, লালু প্রসাদ যাদবের দল এখনও যাদব-মুসলিম সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।
চৌধুরীর এই বক্তব্য বিহারের ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আরও তীব্র হয়েছে, যেখানে এনডিএ ১৩১ আসন নিয়ন্ত্রণ করে আছে এবং মহাগঠবন্ধন ১১১ আসনের সাথে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। নির্বাচন ৬ এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে, এবং ফলাফল ১৪ নভেম্বর ঘোষিত হবে।