পটনা, ১৪ নভেম্বর: সন্ধে সাড়ে সাতটা। পাটনার ১ আনে মার্গের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের গেট খুলতেই ভিতরে ঢুকল একটা সাদা টয়োটা ফরচুনার। গাড়ি থেকে নামলেন বিজেপির তারাপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয়ের হাসি, হাতে একটা বড় ফুলের তোরা। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে মুহূর্তে ছবিটা ভাইরাল বিহারের নতুন ক্ষমতার সমীকরণের প্রথম অফিসিয়াল ছবি।
এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে সারাদিন ধরে জল্পনা চলছিল। বিজেপি ৯৩টি আসন নিয়ে সিঙ্গল লার্জেস্ট পার্টি, জেডিইউ ৭৪-এ। এই পরিস্থিতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ কে পাবেন, কতজন পাবেন, কোন কোন দফতর যাবে বিজেপির ঝুলিতে—এসব নিয়ে দিল্লি থেকে পাটনা পর্যন্ত হাই লেভেল বৈঠক চলেছে। আর সেই আলোচনার প্রথম দৃশ্যমান ফল এল সম্রাট চৌধুরীর এই সৌজন্য সাক্ষাৎয়ে।
30,999 টাকায় কিনুন এ বছরের ‘ব্যাটারির রাজা’ ফোন, নিমেষে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে
নীতীশ কুমারের বাসভবনের লনে দু’জনে প্রায় আধ ঘণ্টা একান্তে বৈঠক করেন। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন জেডিইউ-এর বর্ষীয়ান নেতা বিজয় চৌধুরী, বিজেপির সঞ্জয় ঝা, আর কয়েকজন কোর কমিটির সদস্য। বৈঠক শেষে সম্রাট বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “নীতীশজি আমাদের অভিভাবক। তাঁর নেতৃত্বেই বিহার এগিয়ে যাবে। আমি শুধু জয়ের খবর দিতে এবং আশীর্বাদ নিতে এসেছি।
সরকার গঠন নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। এনডিএ একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”কিন্তু রাজনৈতিক করিডোরে ফিসফিস শুরু হয়েছে সম্রাট চৌধুরীকেই কি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হচ্ছে? তিনি গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তারাপুর থেকে বিপুল ভোটে জিতেছেন (৪৮,৭৬২ ভোটের ব্যবধানে), আর কোষাধ্যক্ষী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।
বিজেপির অন্দরে খবর, দিল্লি থেকে ইঙ্গিত এসেছে—অতি পশ্চাৎবাহী সম্প্রদায়ের (ইবিসি) একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করলে সামাজিক সমীকরণ আরও মজবুত হবে। সম্রাট সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে।
কিন্তু রাজনৈতিক করিডোরে ফিসফিস শুরু হয়েছে—সম্রাট চৌধুরীকেই কি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হচ্ছে? তিনি গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তারাপুর থেকে বিপুল ভোটে জিতেছেন (৪৮,৭৬২ ভোটের ব্যবধানে), আর কোষাধ্যক্ষী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। বিজেপির অন্দরে খবর, দিল্লি থেকে ইঙ্গিত এসেছে—অতি পশ্চাৎবাহী সম্প্রদায়ের (ইবিসি) একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করলে সামাজিক সমীকরণ আরও মজবুত হবে।
সম্রাট সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে।অন্যদিকে জেডিইউ-ও চুপ করে নেই। সকালেই দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সেই ‘नीतीश CM थे, हैं, रहेंगे’ টুইট-ডিলিট কাণ্ডের পর দলের নেতারা বলছেন, “নীতীশজিই সিএম, এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। বিজেপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাইয়ে ভাইয়ে।” কিন্তু সম্রাটের এই সাক্ষাৎকে অনেকে দেখছেন ‘পাওয়ার শেয়ারিং’-এর প্রথম ধাপ হিসেবে।


