উৎসবে’র মেজাজে গণইস্তফা আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারদের

আরজি কর (RG kar protest) কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দশ দফা দাবি পূরণ না হলে অনশন থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন…

senior doctors resign

আরজি কর (RG kar protest) কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দশ দফা দাবি পূরণ না হলে অনশন থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে জুনিয়রদের পাশে দাঁড়াতে গণইস্তফা দিলেন আরজিস করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের এইচওডি। জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রসাশন কোনও ব্যবস্থা নিলে তাঁরা গণইস্তফার পথে যাবেন বলে অতীতেও একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। অবশেষে সেই পথেই হাঁটলেন তাঁরা। 

জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘মহামিছিল’-এর আবেদন খারিজ পুলিশের

   

মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে লাইন দিয়ে ইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করেন সিনিয়রেরা। মূলত, অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে থেকেই রাজ্যে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চান তাঁরা। 

গত সপ্তাহেই দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রবিবার সেই অনশনে যোগ দেন আন্দোলনের অন্যতম অনিকেত মাহাতো। গত শনিবারই জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্ণামঞ্চে যোগ দেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। তারপরেই আরও তীব্রতর হয় আন্দোলন। তবে পুজোর মুখে যখন ভিড় বাড়ছে, তখন ডাক্তারদের এই আন্দোলন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা বাড়াতে পারে বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। 

হরিয়ানায় ভোটগণনায় শুরু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, কে এগিয়ে রইল কংগ্রেস নাকি বিজেপি?

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশনে যোগ দিচ্ছেন সব মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। সেই তালিকায় রয়েছে আরজি কর, এন‌আর‌এস, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের(Doctors Protest) একাংশ৷ 

অনশনের পাশাপাশি এদিন মিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টেয় শুরু হবে সেই মিছিল। তবে এখানেই শেষ নয়, এই অনশনকে কেন্দ্র করে গতকাল ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের(Doctors Protest) অনশনমঞ্চে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। 

পঞ্চমীর দিন অপরিবর্তিত হীরের দাম, কলকাতায় কত রেট জানেন?

তবে এবার আরজি করের মতো একটি সরকারি হাসপাতালের একসঙ্গে এতজন সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা নিঃসন্দেহে রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।