আরজি করের ৫১ জন চিকিৎসক দ্বারস্থ হাই কোর্টে, মিলল মামলা দায়ের অনুমতি

আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর সেই হাসপাতালকে ঘিরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপরেই আরজি করে (RG Kar Hospital Incident)…

51 doctors of RGI have approached the High Court, and permission to file a case has been granted.

আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর সেই হাসপাতালকে ঘিরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপরেই আরজি করে (RG Kar Hospital Incident) থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি করের ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার সাসপেন্ড হওয়া সেই জুনিয়র চিকিৎসকরা দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাই কোর্টে।

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে ভয় দেখানোর অভিযোগে সরব হন সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এর ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। এমনকি সেসময় কয়েক জনের নামও দেওয়া হয়। এরপর সেই তালিকায় থাকা অভিযুক্তদের তলব করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা এই বিষয়টি আরজি করের স্পেশ্যাল কাউন্সিল বৈঠকে সামনে আনেন।

   

সে সময় আরজি করের কয়েকজন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছিল, হাসপাতালের মধ্যে তাঁরা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। আর যার জন্য হাসপাতালে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হলে তাঁরা সেই চিঠির ভিত্তিতে ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করেন।

এরপরে গত সেপ্টেম্বর মাসে আরজি কর হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিল ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত, এই ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসকের মধ্যে হাউস স্টাফ, জুনিয়র ডাক্তারেরাও রয়েছেন। এনারা প্রত্যেকেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসকই দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাই কোর্টে।

সোমবার অর্থাৎ আজ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। তবে আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। জানা যাচ্ছে, আগামী ১৮ অক্টোবর এই মামলাটির শুনানি হতে পারে।