মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলে বসেও চাকরি বিক্রি করছেন, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার, ১৬ নভেম্বর, কলকাতার একটি সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু এই অভিযোগটি সামনে আনেন এবং তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণও দেখান।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলে বন্দী অবস্থাতেই ফোন ব্যবহার করছেন এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছেন। তিনি শুধু ব্যক্তিগত সুবিধা নয়, বিভিন্ন প্রার্থীর নিয়োগে নিয়ন্ত্রণও চালাচ্ছেন।” তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে কিছু ছবি, ভিডিও এবং অডিয়ো ক্লিপও দেখান এবং দাবি করেন এগুলো সবই জীবনকৃষ্ণ সাহার।
শুভেন্দুর অভিযোগ অনুযায়ী, জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলে বসে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রার্থীকে সুবিধা দিচ্ছেন এবং টাকা গ্রহণ করছেন। বিরোধী নেতা আরও বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
এই অভিযোগ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। তৃণমূলের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়ার সৃজন হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের অভিযোগ শুধু বিরোধী দলের সমালোচনারই সুযোগ দিচ্ছে না, বরং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার ওপরও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে আরও বলেন, “আমরা সঠিক প্রমাণাদি হাতে পেয়েছি। এটি শুধু রাজনৈতিক চক্রান্ত নয়, এটি জনগণের অধিকার রক্ষার বিষয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন চাকরির সুযোগের সঙ্গে অনিয়ম ও ঘুষের ব্যবস্থা জড়িত রয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহল এবং শিক্ষাব্যবস্থা সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এই পরিস্থিতিতে সত্যিকার অর্থে যোগ্য প্রার্থী কি সুযোগ পাবে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুভেন্দুর এই অভিযোগ তৃণমূলের জন্য নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগের মতো সংবেদনশীল ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।


