রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, অথচ ৬ বছরেও CBI কেন চুপ? সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন

Rajeev Kumar’s Legal Battle with CBI to Be Heard by Supreme Court on Friday

বাংলার সর্বাধিক আলোচিত এবং বিতর্কিত কেলেঙ্কারি, সারদা চিটফান্ড মামলা, এক নতুন মোড় নিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) সম্পর্কিত এই মামলায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নতুন একটি শুনানির মাধ্যমে নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছে।

Advertisements

সিবিআই, যে সংস্থা সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে, তারা রাজীব কুমারের জামিন খারিজ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। তবে, সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন গত ছয় বছরে একবারও রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি?”

২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে আসে, যেখানে বহু মানুষ আর্থিক প্রতারণার শিকার হন। সিবিআই এবং অন্য সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করলেও, এই মামলায় রাজীব কুমারের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে।

২০১৭ সালে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে, এবং তাঁকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিশেষ মামলা হয়। পরে, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা হলেও, তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান। তবে, সিবিআই মনে করে যে রাজীব কুমারের জামিন অবৈধ এবং তাঁদের মনে হয় যে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, যা তাঁর গ্রেফতারের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে যে, রাজীব কুমারের জামিন খারিজ করা হোক এবং তাঁকে তদন্তের জন্য গ্রেফতার করা হোক। তবে, সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি উঠলে, আদালত সিবিআই-কে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন করে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি সিবিআই-এর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, “কেন গত ছয় বছরে রাজীব কুমারকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি?” এই প্রশ্নটি শুধু সিবিআই-এর তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে সংশয় তুলে ধরেনি, বরং পুরো বিষয়টির দিকে সন্দেহের চোখও ফেলেছে। প্রধান বিচারপতির মতে, “এই পুরো ঘটনাপ্রবাহ হতাশা, যা বুঝিয়ে দেয় যে সারদা মামলায় সিবিআই-এর তরফ থেকে যথেষ্ট আগ্রহ এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

কোনো অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঠিক সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা সাধারণ তদন্ত পদ্ধতির একটি অংশ। কিন্তু ছয় বছর ধরে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কোনো গঠনমূলক প্রশ্ন করা হয়নি, এমনকি তাঁকে তদন্তে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়নি, এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার ইঙ্গিত দেয়।