Monday, December 8, 2025
HomeBharatসংসদে বন্দেমাতরম উদযাপনে নেই রাহুল! সরব বিজেপি

সংসদে বন্দেমাতরম উদযাপনে নেই রাহুল! সরব বিজেপি

- Advertisement -

ভারতের রাষ্ট্রগীত বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর পূর্তিতে সংসদে বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Rahul Gandhi absence)। উপস্থিত আছেন সকল রাজনীতিবিদরা। শুধু মুখ দেখা গেল না বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। এই ইস্যুতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তারা বলছে তবে কি বন্দেমাতরম কংগ্রেসের রাষ্ট্রগীত নয়। যেখানে ভারতের তাবড় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা এই উদযাপনে অংশ নিয়েছেন, সেখানে কেন নেই রাহুল গান্ধী। বিরোধীপক্ষ আরও বলেছে যে তবে কি জওহরলাল নেহেরুর বন্দেমাতরমে কাঁচি চালানোর কীর্তিকলাপের কারণেই লজ্জায় আসেননি রাহুল গান্ধী।

আজ লোকসভায় ১০ ঘণ্টার বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী শুরু করেন। তিনি বাঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৭৫ সালে রচিত এই গানকে ‘স্বাধীনতার প্রথম ধ্বনি’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “এটা শুধু গান নয়, ভারতের সভ্যতার প্রতীক। কিন্তু কংগ্রেস এর আত্মাকে কেটে ফেলেছে। ১৯৩৭ সালে নেহরু মুসলিম লীগের চাপে চারটি স্তবক বাদ দেন, যাতে দেবী বন্দনার মন্ত্র ছিল।

   

ইন্ডিগো বিভ্রাটে রাজ্যসভায় কঠোর বার্তা বিমান পরিবহন মন্ত্রীর

এটা ছিল আপসের রাজনীতি, যা স্বাধীনতা আন্দোলনকে দুর্বল করেছে।” মোদীর বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, সুভাষচন্দ্র বোসের মতো নেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আলোচনা শেষ করেন, বলেন, “বন্দেমাতরম আমাদের ঐক্যের সূত্র। কংগ্রেসের এই অবহেলা দেশের পরিচয়কে আঘাত করে।” রাজ্যসভায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা এই আলোচনায় অংশ নেন।

এই বিতর্কের মূলে রয়েছে বন্দেমাতরমের ঐতিহাসিক যাত্রা। বাঙ্কিমের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে (১৮৮২) প্রথম প্রকাশিত এই গান ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটাকে সুরারোপ করেন। কিন্তু ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের ফৈজাবাদ অধিবেশনে মুসলিম লীগের আপত্তিতে শুধু প্রথম দুটি স্তবক গ্রহণ করা হয়, যাতে দেবীবাদের উল্লেখ না থাকে। সংবিধানসভায় এটাকে জাতীয় সংগীতের সম্মান দেওয়া হয়।

বিজেপি এটাকে ‘কংগ্রেসের মুসলিমপন্থী আপস’ বলে চিত্রিত করছে, যখন কংগ্রেস বলছে এটা ছিল ঐক্যের জন্য সংবেদনশীল পদক্ষেপ।রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে আরও অভিযোগ উঠেছে তার অতীতের ঘটনা থেকে। ২০২৪-এ এক জনসভায় রাহুলের নির্দেশে কে সি ভেনুগোপাল বন্দেমাতরমের পাঠ বন্ধ করেন, যা বিজেপি ‘দেশপ্রেমের অভাব’ বলে তুলে ধরেছে।

এছাড়া, স্বাধীনতা দিবসে রেড ফোর্টে তার অনুপস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের তুলনা করা হচ্ছে। বিজেপি বলছে, “গ্লোবাল লিডাররা রাহুলের জন্য সময় নষ্ট করুক, কিন্তু ভারত মাতার গানে তারা নেই!” কংগ্রেস পাল্টা বলছে, “এটা বিজেপির ডিভাইড অ্যান্ড রুল। আমরা বন্দেমাতরমের সমর্থক, কিন্তু বিজেপি এটাকে নির্বাচনী হাতিয়ার বানিয়েছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular